নাটোর প্রতিনিধি,মো:বিপ্লব তালুকদারঃ আজ সোমবার পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। সারা দেশে দিবসটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হবে। বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.)-এর ওফাত দিবস মুসলিম সুফিদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত।
তিনি ইসলামের অন্যতম প্রচারক হিসাবে সুবিদিত। সূফীরা তাকে ‘বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী’ নামে ব্যক্ত করেন। আধ্যাত্মিকতায় উচ্চমার্গের জন্য বড়পীর, ইরাকের অন্তর্গত ‘জিলান’ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করায় জিলানী, সম্মানিত হিসাবে আবু মোহাম্মদ মুহিউদ্দীন প্রভৃতি উপাধি ও নামেও তাকে সম্বোধন করা হয়।
হিজরী ৫৬১ সালের ১১ রবিউসসানী
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি(রহঃ) পরলোক গমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তার ওফাত দিবস সারা বিশ্বের সূফীরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তার মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত। প্রতি আরবি মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাত গেয়ারভী শরীফ পালন হয়।
হিজরী ৫৬১ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের পরলোক গমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তার ওফাত দিবস সারা বিশ্বের সূফীরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তার মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত। প্রতি আরবি মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাত গেয়ারভী শরীফ পালন হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বাদ জোহর ১টা ৩০ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন রাজধানীর গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব হজরত মাওলানা আবদুর রাজ্জাক আল আযহারী।
‘ফাতেহা’ বলতে দোয়া অনুষ্ঠানকে বোঝানো হয়। ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, এর অর্থ এগারো। আর ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারোতম দিনকে বোঝানো হয়; যেদিন বড়পীর আবদুল কাদির জিলানি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। মধ্যযুগে ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রচারক আবদুল কাদির জিলানি হিজরি ৪৭০ সনের ১ রমজান মোতাবেক ১১৭৮ সালের ২৩ মার্চ ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি মোতাবেক ১১৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর দিনটি ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হিসেবে বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে।