হেলাল হোসেন কবিরঃ লালমনিরহাটে আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের ২৭জন খামারীদের জামানতকৃত চেক ফেরত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলা শহরের বানভাসা মোড় সংলগ্ন আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ লালমনিরহাট ব্র্যাঞ্চ অফিস কার্যালয়ে রংপুর ব্র্যাঞ্চের অধীনে খামারীদের জামানতকৃত চেক ফেরত অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের রংপুর ব্র্যাঞ্চ অফিসের ইনচার্জ মাহমুদুল নবী রংপুরের বিভিন্ন খামারীর ভূয়া হিসাব দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় অফিস জানতে পেয়ে মাহমুদুল নবী, অজয় চন্দ্র বর্মণ ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে বগুড়া জজ কোর্টে মামলা করেন ফার্মটির কর্তৃপক্ষ।
যার ফলে খামারীদের মাঝে কিছুটা ভূল বুঝাবুঝি শুরু হয়। অবশেষে সেই ভূলের অবসান ঘটিয়ে খামারীদের চেক ফেরত দেন আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের জিএম ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল আলম। এ সময় আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের এজিএম জাহিদুল ইসলাম, মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হাসান, লালমনিরহাট রংপুর ব্র্যাঞ্চের ইনর্চাজ মঞ্জুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের জিএম ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, আমরা খামারীদের ব্রয়লারের বাচ্চা, উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করে থাকি। খামারীরা সেই বাচ্চাগুলো লালন-পালন করে আমাদের কাছে বিক্রি করে। তাদেরকে যে সুযোগগুলো দেই এ জন্য বাচ্চা বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন টাকা নেই না। তবে, খামারীদের সাথে বিশ্বাস বজায় রাখতে জামানত হিসেবে চেক জমা নেই। সারা দেশে একই ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে। রংপুর ব্র্যাঞ্চের সাবেক ইনচার্জ মাহমুদুল নবী এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে সুবিধা নিতে গিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আমরা তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। মাহমুদুল নবী নিজেকে বাঁচাতে আমাদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে একটি মিডিয়ায় সংবাদ করেন আমি সেই সংবাদের জোড় প্রতিবাদ জানাই। একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে তার এই নোংরা মানসিকতার। সঠিক বিষয়টা আদালতের রায়ের মাধ্যমে জানা যাবে।