নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আর্ন্তরজাতিক ইসলামী স্কলার, গ্র্যান্ড মুফতি ও দারুল উলুম করাচির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ রফি উসমানী রাহ’র ইন্তেকালে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।
আজ (১৯ নভেম্বর’২২ ইং) শনিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন,। ‘ইসলামী শিক্ষা, তাহযিব-তামাদ্দুন, গবেষণার বিস্তার এবং ইসলামী আইনের উপর মরহুম আল্লামা মুফতি রফি উসমানির অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে। পাকিস্তাসহ ভারত উপমহাদেশব্যাপী ইসলামী শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার দ্বার উন্মুক্তকরণ, বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতিতে ইলমে ফিকহ ও ইসলামী আইন চর্চাকে বিস্তৃত করায় তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ ইলমে ফিকহের উপর তাঁর রচিত বহু কিতাব বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসা ছাত্র ও ইসলামী গবেষকদের কাছে বেশ সামদৃত । তাঁর ইন্তিকালে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মাঝে গভীর শোক বিরাজ করছে।
শোক বার্তায় আল্লামা আনাস মাদানী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, গত দুই বছরে বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের প্রথম সারির বহু শীর্ষ আলেম ও ইসলামী স্কলারকে আমরা হারিয়েছি। এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে এতো অধিকসংখ্যক আলেম কখনোই ইন্তিকাল করেন নি। এতে করে উম্মাহর মুরুব্বী ও নেতৃত্বে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানের নানা সংকট ও প্রতিকূলতা উত্তরণ ও পথ নির্দেশনা পেতে এ সকল মুরুব্বী আলেমদের বড়োই প্রয়োজন ছিল। এই শূন্যতা সহজে পুরণ হবার নয়।
আল্লামা আনাস মাদানী হাফিজাহুল্লাহ মরহুম আল্লামা মুফতি রফি উসমানির মাগফিরাত কামনা করেন বলেন, উম্মাহ দরদী এই মুখলিস আলেমকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন; আমিন।
উল্লেখ্য, আল্লামা মুফতি রফি উসমানি (রহ.) ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই অবিভক্ত ভারতের দেওবন্দে ঐতিহ্যবাহী উসমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক পুরোধা মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.) তাঁর নামকরণ করেন। পবিত্র কোরআন হিফজ ও প্রাথমিক পড়াশোনা তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে করেন। ১৯৪৮ সালের ১ মে তার পিতা আল্লামা মুফতি শফি (রহ.)-এর সঙ্গে সপরিবারে পাকিস্তান হিজরত করেন। ফিলিস্তিনের গ্র্যান্ড মুফতি আমিন আল-হুসাইনির কাছে হিফজেরে শেষ পাঠ শুনিয়েছেন। ১৯৫১ সালে দারুল উলুম করাচিতে দরসে নেজামিতে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। এরপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন