সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ চত্বরে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে এতে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল গোটা কুড়িগ্রাম অঞ্চল। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন। নভেম্বরের প্রথম থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমন তীব্র হতে থাকলে একে একে পতন ঘটতে থাকে পাক সেনাদের ঘাঁটিগুলো। হানাদার মুক্ত হয় মুক্ত হয় জেলার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা।
পাক সেনারা পিচু হটে এসে কুড়িগ্রাম শহরে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে । এরপর কুড়িগ্রাম শহরকে মুক্ত করতে মিত্র বাহিনীর উপর্যপুরী বিমান হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মিত্রবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হায়েনার দল। এরপর আসে ৬ ডিসেম্বর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় সমগ্র কুড়িগ্রাম জেলা। এরপর নতুন শহরের পানির টাংকির উপরে বাংলাদেশের লাল সবুজের প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়।