মাসুদ রানা,জেলা প্রতিনিধি গাজীপুরঃ গাজীপুর মহানগর জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানা গত ০৯/১২/২০২২ তারিখ সকাল ০৬: ১০ ঘটিকার সময় ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের পূর্ব পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি মৃতদেহ পড়ে আছে বলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই শরিফুল ইসলাম সংবাদ পান। তিনি সাথে সাথে তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় বস্তা কেটে মৃতদেহ বের করেন। থানা পুলিশ লাশটি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার সাদাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মো: শেখ রাকিব (২৩) বলে সনাক্ত করেন।
ভিকটিম শেখ রাকিব মোদাফা এলাকার ডিকে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ওয়ার্কশপ)তে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতেন। তিনি পার্শ্ববর্তী নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে মোঃ শাহেদ (২০) পিতা: আসলাম গ্রাম: বাহাদুরপুর থানা :গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী নামের সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ জানায় সে একই ওয়ার্কশপের হেল্পার কাম ওয়ার্কশপের পাহারাদার হিসেবে নিয়োজিত ছিল। শাহেদ ভিকটিম রাকিবের নিকট ওয়েল্ডিং এর কাজ শিখতে চেয়েছিল। ভিকটিম শেখ রাকিব কাজ না শিখানোর কারণে দুই জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন আসামি শাহেদ কৌশলে ভিকটিম শেখ রাকিবকে রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় ওয়ার্কশপের এর মধ্যে ডেকে নিয়ে এসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়ার্কশপের মধ্যে থাকা ধারালো স্টিলের পাত এবং এসএস শিট দ্বারা ভিক্টিমের মাথায়, ঘাড়ে এবং অন্যান্য স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে আসামি শাহেদ (২০) মৃতদেহ এবং অন্যান্য আলামত গোপন করার লক্ষ্যে তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় মৃতদেহ বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে ওয়ার্কশপের পাশেই নিচু জায়গায় ফেলে দিয়ে রক্তমাখা অন্যান্য আলামত বস্তার ভিতরে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় ফেলে রাখে। আসামি শাহেদ কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বন্ধু ইমরানকে আটক করা হয়েছে।
আসামী শাহেদ কে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কথা সে স্বীকার করেছে।এই বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।