সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সরদার জানান, শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোববার ইনডোরে ৩৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া শিশু ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৮২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিন সকালে জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। এর ফলে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। এর ফলে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শীতে বেশি কষ্ট পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা। সকালে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে কাজে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, সরকারিভাবে মাত্র ৫০০ কম্বল পেয়েছেন। মেম্বাররা ভাগে মাত্র ২২টি করে পেয়েছে। বিতরণ করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।