নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে একযোগে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভাস্থ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাসমূহে বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়। বই বিতরণ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ৩২, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের এমপি প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌর মেয়র মকিুতুর রহমান রাফি, উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোকাদ্দেস আলী বাদু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আল পারভেজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী,(ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক রুমিলা ইয়াসমিন, সৈয়দ তোফায়েল আহম্মেদ এলিন, অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াজেদ, এটিও সাজাদুর রহমান সাজ্জাদ,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল,প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক,অশোক কুমার সাহা সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
দিনের শুরুতে সকাল ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বকুলতলায় বই উৎসবের আয়োজন করা হয়। অতিথিরা শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে শ্রেণিভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বইয়ের বান্ডিল তুলে দেন।
সকাল সাড়ে ১২টায় গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসায়, সাড়ে ১২টায় কুঠিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেড়টায় বি.এম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলা ৩টায় দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণে অংশ নেন।
ইউনিয়ন পর্যায়ের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বছরের শুরুর দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
বই উৎসবে অতিথিরা বিগত ২০১০ সাল থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শাখার সকল শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে ছাপানো পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করে। যা অব্যাহত রাখায় দেশরত্ন শেখ হসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ অভিহিত করে তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা অর্জনের আহ্বান জানান। নিজেদের যেন তারা আগামী প্রজন্মের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।