এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর কনক হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন। ৩জন আসামী গ্রেফতার এবং অটোইজিবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- ১.হেলাল মিয়া (২২) পিত-মো. মোজাম্মেল হক মোজাম গ্রাম.রামপুরা সরকার পাড়া,থানা. গোবিন্দগঞ্জ জেলা.গাইবান্ধা। ২. মো.সৌরভ মন্ডল (২০) পিতা-মো.ফেরদৌস মন্ডল,গ্রাম.ক্রোড়গাছা থানা. গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধা। ৩.মো.দেলাল মন্ডল (২০) পিতা.মোজাম্মেল হক মোজাম গ্রাম.রামপুরা সরকার পাড়া থানা. গোবিন্দগঞ্জ জেলা.গাইবান্ধা।
কনক মিয়া গত (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফেরেন নি। এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শনিবার(২১ জানুয়ারি) রংপুর চিনিকলের মালিকানাধীন সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের কাটা এলাকার সিংড়ারদীঘি নামক পুকুরের পানিতে তার হাত-পা বাধা মৃতদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. বুলবুল ইসলাম,এস আই জসিম উদ্দিন এসআই প্রলয় বর্মা ও এএসআই আসাদুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন।উক্ত টিম গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকাসহ রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যেই অটোইজিবাইক চালক কনক প্রমানিক হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনজন আসামি ১/ হেলাল মিয়া ২/ সৌরভ মন্ডল ৩/ দেলান মিয়াকে গ্রেফতার করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের ব্যবহৃত ইজিবাইক,একটি দেশীয় তৈরি চাকু ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইজার উদ্দিন জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় অটোইজিবাইক ছিনতাইকালে বাধা দেওয়াই তাকে মারপিট করে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাত পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে দেবার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে আসামীদের দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করনের জন্য আবেদন করা হইবে।