হেলাল হোসেন কবিরঃ তিনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন তরুণ ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অবশেষে সেই প্রতারক ওয়াজেদ আলীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব ১৩।
রংপুর র্যাব-১৩ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন লালমনিরহাট জেলার সদরের কুলাঘাট বাজার হতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি লালমনিরহাট জেলার সদরের কুলাঘাট বাজার হতে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রতারক মোঃ আহেদ আলী (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রতারক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩০ অধিক লোকের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বিভিন্ন ভিকটিমের দাবি ওয়াহেদ আলী (৫৫) এর কাজই ছিল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ জেলা জেলার বাইরে থেকে প্রার্থী সংগ্রহ করা এবং তা নিয়োগপত্র প্রদান করা। টাকা আত্মসাৎ করার পর পরেই তারক বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,
প্রতারক ওয়াজেদ আলীর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার মামলা নং ১২, তাং ৩১ /১২/২২ এর ৪০৬/৪২০ পেলান কোড-১৮৬০।
লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং২৮, তাং ১৮/০২/২০১৩, ধারা-১৪৩/১১৪/৫০৬/৩০৭/৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৪২৭ পেলান কোড-১৮৬০।
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার মামলা নং-২১, তাং ২০/০৯/২০০৮ -৪২০/৪০১ পেনাল কোড-১৮৬০ এবং লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং -৪১/১১৮, তাং ১৯/০২/২০২২, ধারা ৪২০/৪০৬ পেনাল কোড-১৮৬০ চলমান এরই ধারাবাহিকতা র্যাব-১৩ এর একটি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব এর পক্ষ থেকে জানা যায়, র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট বাজার হতে একাধিক প্রতারণা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ ওয়াহেদ আলী (৫৫), পিতা মোঃ হায়দার আলী, সাং-বাইরখাতা, থানা ও জেলা লালমনিরহাট ‘কে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত প্রতারক মোঃ ওয়াহেদ আলী (৫৫) স্বীকার করে যে, সহজ সরল মানুষকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে প্রতারক’কে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উক্ত প্রতারক কুলাঘাট ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।