আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বাসযোগে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ রাত ০৩.০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাব সদস্যরা একটি বাস তল্লাশীকালে ০১ জন ব্যক্তি গাড়ি হতে নেমে সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামী মোঃ হাফেজ উল্লাহ (৬৩), পিতা- মৃত তমিম গোলাল, সাং- ডেইল পাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে উক্ত বাসের মালামাল রাখার সাইডবক্সের ভিতরে রক্ষিত তার ট্রলি ব্যাগের ভেতর হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে শপিং ব্যাগ দ্বারা দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ৫,১৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নেশা জাতীয় অবৈধ মাদকদ্রব্য কথিত ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।