তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাঠিয়ান হাওরের বড়দল গ্রামের পাশে ঝুকিপূর্ণ পাচনাইল্লা বাধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিগত বৎসর অকাল বন্যায় বাধটির বিশাল ক্ষতিহয়, এবৎসর তিনটি পি আইসির সমন্নয়ে বিভিন্ন জল্পনা কল্পনার পর বাধের কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট পি আই সি।বাধের কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে দিন রাত পরিশ্রম করে পরিদর্শন করে যাচ্ছেন তাহিরপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা। সফলতার সাথে বাধের কাজ সমাপ্তি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন পি আই সি লোকজন,পাচনাইল্লা বাধের কাজ সমাপ্তির দিকে দেখে এলাকার কৃষকদের মধ্যে সস্তি ফিরে এসেছে।এদিকে মার্চের শেষ দিকে ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাওরের বোরো ধান উঠার কথা রয়েছে। একই সময়ে থাকে আগাম বন্যার শঙ্কাও। কোনো কোনো বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন। এতে উৎপাদনের কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ হয় না বোরোতে। এবার হাওরের বোরো ধান রক্ষায় আরও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। হাওরের প্রায় ১১৩ টি বাঁধ সংস্কারে এখন পুরোদমে কাজ চলছে।
বড়দল গ্রামের কৃষক সামায়ুন মিয়া বলেন, মাটিয়ান হাওরের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ বাধ হলো পাচনাইল্লা বেরি বাধ,আমাদের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় এবাধটি মেরামত করা অতিব জরুরি ছিল,বাধটি নির্ধারিত সময়ের আগেই মেরামত হওয়ায় এলাকায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে, তারা নিশ্চিন্তে তাদের কষ্টে অর্জিত বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে।এলাকার কৃষক ভাইদের পক্ষ থেকে তাহিরপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা স্যার কে আমরা ধন্যবাদ জানাই তিনি বাধের কাজ শুরু হওয়া থেকে অদ্যবদী পর্যন্ত দিন রাত পরিশ্রম করছেন।
তাহিরপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, হাওরের প্রতিটি বাধের কাজ দ্রুতগামী এগিয়ে যাচ্ছে,আমরা সর্বক্ষন বাধ পরিদর্শন করছি,আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই বাধের কাজ শেষ করতে পারব, বাধের কাজে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।