মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলাঃ মুকুলের বিকল্প কেউ নেই বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে,মুকুলেই আস্থা ও ভরসা তৃণমূল আওয়ামীলীগের।
ভোলা ২ আসন (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান)এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভোলা ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য আলী আজম মুকুল ।অবহেলিত জনপদ এখন শান্তির নীড়ে পরিনত হয়েছে। স্বস্তি ফিরে এসেছে এখানকার জনসাধারণের মাঝে।
২০১৪ সালে ভোলা ২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনায়ন পেয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আলী আজম মুকুল।
অল্প সময়ে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের নজড় কাড়তে সক্ষম হন।সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সু-সংগঠিত করেছে দলীয় কার্যক্রম, প্রান খুঁজে পেয়েছে নেতা কর্মীরা।
বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানকে একটি শান্তির নীড় গড়ে তুলতে এ এলাকার নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করেন এমপি মুকুল। বিভিন্ন সময়ে ছুঁটে চলেন জনগনের খোঁজ খবর নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ভাগাভাগি করে নেয় সুখ-দুঃখ সকলের সাথে। যা বিগত দিনে অন্য কোন সংসদ সদস্যকে এভাবে পায়নি এখানকার জনগণ। বৃদ্ধি করেছে এখানকার জীবনযাত্রার মান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার সুষম বণ্টন করেছেন। পাশাপাশি শক্তিশালী কাঠামোতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছে দুই উপজেলায়। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ রাজনীতিবিদ পৌর মেয়র থেকে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের ভোটে। আসনটিকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আসন বলা হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তার পরেই পরপর ৮৬, ৮১,৯৬ সালে তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্ষিয়ান আ’লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ। জীবনের ৭বারের মধ্যে ৪ বারই তোফায়েল আহমেদ দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসেবে শেখ হাসিনার সততা ও আদর্শকে বুকে লালন করে, জননেতা তোফায়েল আহমেদের ছেড়ে দেওয়া আসনে স্থলাভিষিক্ত হন ২০১৪ সালে নির্বাচিত বিজয়ী হয়ে আলী আজম মুকুল এমপি।
ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ২ টি পৌরসভা নিয়ে ভোলা ২ আসন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মুকুল নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে আরো মন জয় করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। গড়ে তুলেছেন সবার মাঝে এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এলাকাবাসীর ধারণা দিনরাত দৌলতখান ওবোরহানউদ্দিনের মানুষের পাশে থাকা মানুষগুলোই তাকে আপন করে নিয়েছে অতি সহজে।
এলাকাবাসী বলেন, তিনি একটু ব্যতিক্রমও বটে অন্যান্য সকল সাংসদদের চেয়ে। একজন খেটে খাওয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ এমপি মুকুলের কাছে এসে কথা বলতে পারেন সহজে। যখন তিনি মেয়র ছিলেন তখন থেকেই সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে থাকতেন। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসা এ রাজনীতিবিদ মানুষের সুখে, দুঃখে, অভাব অনটনের কথা শুনে তা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কেউ যেনো ফিরে যান না তার কাছ থেকে কথা না বলে ও সাহায্য না পেয়ে। তার এ অর্জনের পিছনে বড় কাজ হলো তিনি সাংসদ হয়েও মাসে ১৫ দিনের বেশি সময় নিজ নির্বাচনি এলাকায় কাটান। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন পুরোপরি নদী ভাঙার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এমপি আলী আজম মুকুল নদীভাঙন রোধে ৫৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ,তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, তেঁতুলিয়ার ভাঙন রোধে দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্লক বাঁধ স্থাপনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছেন। দলের তরুণ নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার সখ্য রয়েছে। দলের স্থানীয় পর্যায়ে দৃশ্যমান কোনো বিরোধ নেই। আসনটি আবারও দলের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলী আজম মুকুল এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এছাড়াও বোরহানউদ্দিন লঞ্চ ঘাট আধুনিকায়ন, দৌলতখান উপজেলা কমপ্লেক্স, অসংখ্য নতুন রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছেন।
দৌলতখান উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলাকে নব্বই শতাংশ বিদ্যুতায়ন করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।দলের ও রাষ্ট্রিয় যে কোনো অনুষ্ঠানে নিজে নির্বাচনী আসনে স্ব-অবস্থান করে তা বাস্তবায়ন করেন। এসব কারণেই আজ আলী আজম মুকুল এমপির জনপ্রিয়তা স্বর্ণশিখরে। তৃণমূল নেতাকর্মী আজ মুকুলের জন্য ঐক্যবদ্ধ, তাকেই যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেছেন স্থানীয় জনগণ। তাই তৃণমূলের ভাবনা আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের বিরুদ্ধে এরকম ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আলী আজম মুকুলের বিকল্প নেই।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল বিপ্লব বলেন, আলী আজম মুকুল বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন। এ আসনে তার বিকল্প কেউ নেই।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম জানান, বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ আলী আজম মুকুলের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরা শুধু রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে না, আমাদের মনোনিত প্রার্থী আলী আজম মুকুল এমপি হয়ে নিজস্ব মেধা ও মননশীল চিন্তা নিয়ে যে উন্নয়ন করেছেন তা কেউ করতে পারেনি।
নিজ মাথায় মাটি নিয়ে তিনি বেড়ি বাধ নির্মাণ করেছেন। আজ বোরহানউদ্দিনে এক তিল জমির মাটিও নদী গর্ভে বিলীন হয় না। প্রত্যেকটি বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগও মুকুলের হাত ধরেই হয়েছে। মুকুলকে নিয়েই আগামীর উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের শতভাগ আশাবাদী।