মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। প্রতিদিন শহরের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন মার্কেটে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ টা বা তার কিছুক্ষন পর সময় পর্যন্ত ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিপনী বিতানগুলোতে। বিশেষ করে গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকান) গুলোতে ভীড় বেশি। পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি, প্যান্টের দোকানসহ বিভিন্ন পন্যের দোকানেও রয়েছে আলাদা ভীড়।
৭ এপ্রিল শুক্রবার পৌর শহরের নর্থ সার্কুলার রোডের আসলাম কালকেশন, সুপ্রিয় ফ্যাশন, ঘোমটাসহ গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকন) এ গিয়ে জানা যায়, সকাল ৯ টায় ক্রেতা সমাগম হতে শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্রেতা গেঞ্জি, শার্ট, বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট, থ্রি-পিস, শাড়ি, লেহেঙ্গা, উড়না, প্যান্ট পিস, সার্ট পিস ইত্যাদি বেশি কিনছেন। আসলাম কালেকশনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পরুষের ২-৩টি দল সেখানে ভীড় করছেন। দোকানদারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতারা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করছেন। ঈদের জন্য মেয়ের জামা-কাপড়, জুতা কিনতে আসা পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার গৃহিনী পায়েল ইসলাম বলেন, ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও তিনি আগে ভাগেই এসেছেন, দাম কম পাওয়ার আশায়। তিনি তার মেয়ের জন্য জামা ও জুতা কিনবেন। বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে পছন্দের জামা ও জুতা কিনেছেন বলে জানান তিনি। তার সঙ্গে থাকা সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের চামেলি আক্তার জানান, বিভিন্ন জিনিসের দামের সাথে সাথেও কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলায় সাথে ঠাকুরগাঁও জেলার কাপড়ের দামের ব্যবধান কিছুটা বেশি। নর্থ সাকুলার সড়কের আসলাম কালেকশনের স্বত্তাধিকারী মো: আসলাম জানান, দিন যত বাড়ছে ক্রেতার সমাগম তত বাড়ছে। অনেকেই পন্যের দাম কিছুটা সস্তায় পাওয়ার আশায় ঈদের অনেক আগে-ভাগেই মার্কেটে আসেন। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাম বেশির ব্যাপারে তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পোষাকে দাম সামান্য বেশি মনে হতে পারে। তবে ক্রেতা সমাগম ঘটছে প্রচুর। এ বছর টি-শার্ট, সুতি পাঞ্জাবী, জিন্সের প্যান্ট বিক্রি বেশি। পাশাপাশি দেখছি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এর মধ্যে মেয়েদের জারারা, গ্রাউন, লাহিঙ্গা, ডালিসহ বিভিন্ন নামী-বেনামী পোষাকের চাহিদা রয়েছে বেশি। বাচ্চাদের কাপড়-চোপরও বিক্রি হতে দেখা যায় প্রচুর।