মোঃ সাজ উদ্দিন,সিলেটঃ সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অফিস কক্ষ হতে চুরিকৃত কম্পিউটারের মনিটর ১০ টি, সিপিইউ ১ টি এবং স্ক্যানার ১ টি উদ্ধার করে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল দুপুর অনুমান ০১:০০ ঘটিকা হতে ২০ এপ্রিল বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময় ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন ১ নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত মনুরটোক অবস্থিত ফেঞ্চুগঞ্জ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অফিস কক্ষ হতে ১০ টি মনিটর, ১ টি সিপিইউ ও ১ টি স্ক্যানার ভেন্টিলেটর ভেঙে অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায় মর্মে গত ২৯ এপ্রিল তারিখে অধ্যক্ষ, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা নং- ০৭, তাং- ২৯/০৪/২০২৩ ইং, ধারা- ৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড রুজু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৯ এপ্রিল (শনিবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সহিত জড়িত ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন ফেরীঘাট নামক এলাকায় ফেন্সুগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সের এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ ইমন আলী (২২), পিতা- মোঃ হারিস আলী, সাং- নুরপুর, থানা- ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা- সিলেট ২। শুভ দেবনাথ (২৮), পিতা- শুভাস দেবনাথ, সাং- মহদী, থানা- ছাতক, জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমান সাং- নুরপুর, থানা- ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা- সিলেটদেরকে আটক করে।
আটককালে তারা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধৃত আসামী ইমন এর বসতবাড়ি হতে চোরাইকৃত স্ক্যানার উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য চোরাই মালামাল ও অন্যান্য আসামীদের আটক করার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জ থানাসহ সিলেট বন্দর বাজার করিমউল্লাহ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই ১০ টি মনিটর, ১ টি সিপিইউ’সহ আসামী ৩। রায়হান আহম্মদ (২১), পিতা- এলাইছ মিয়া, সাং- ইলাশপুর, থানা- ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা- সিলেট ৪। মামুনুর রশীদ (২৬), পিতা- সুরুক মিয়া, সাং- নুরপুর, থানা- ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা- সিলেট ৫। আলী আহমদ (৩০), পিতা- আঃ খালিক, সাং- নোয়াগাও, থানা- ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা- সিলেট ৬। মোঃ নাইম আহম্মেদ জুবের (২৯), পিতা- আজির উদ্দিন, সাং- কল্যাণপুর, থানা- শাহপরান, জেলা- এসএমপি সিলেটদেরকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীরা এলাকায় পেশাদার চুর হিসেবে চিহ্নিত। এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক অপরাধের সাথে জড়িত আছে বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার ইন্সপেক্টর শ্যামল বণিক।