স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ দক্ষিণ পুর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় মোখা এখনও ঘুর্ণিঝড় পরিণত হয়নি।তবে এর সম্ভব্য গতিপথ এবং প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতীয় হাওয়া অফিস জানিয়েছেন আগামী ১০মে উত্তর- উত্তর পশ্চিমে সরে গিয়ে পরের দিন বাংলাদেশের দক্ষিণ পুর্ব এবং মিয়ানমারের উপ- কুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণি ঝড়টি।
এটির প্রভাব সম্পর্কে এখন ও স্পষ্টভাবে কিছু বলা না গেলেও আবহায়াবিদরা আশাঙ্খা করছেন,শেষ পর্যন্ত প্রবল শক্তি নিয়ে উপকুলে আছড়ে পড়তে পারে।এটি আম্পানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে বলেও কারও কারও আশাঙ্খা।ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্য অনুসারে আগামীকাল শনিবার ৬ মে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পুর্বে ঘুর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে।পরের দিন এর পভাবে সেখানে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৮ মে সোমবার এটি আরও ঘনীভুত হয়ে নিম্নচাপের রুপ নিয়ে সেখানে অবস্হান করতে পারে।আইএমডি জানায়, এটি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের পরিণত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে।তখন ঘুর্ণিঝড়টি একটু উত্তর দিকেসরেগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্হান করবে।
আগামী, ৭ মে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর ঘুর্ণি ঝড়ের শক্তি ও গতিপথ সুনিদিষ্ট করে যাবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া এ বছরের প্রথম ঘুর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে “মোখা”।কফির জন্য খ্যাত ইয়েমেনের “মোখা” বন্দরের নামে ঘুর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়ে এদিকে শুক্রবার ৫ মে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছেন, আগামী ৭২ ঘন্টার দক্ষিণ-পুর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। কমতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি পাতের সম্ভবনা।বাড়বে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস জানায় আজ দেশের ঢাকা,ময়মনসিংহ,খুলনা, বরিশাল,চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্হায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।এছাড়া দেশের অন্যস্হানে অস্হায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুস্ক থাকতে পারে। আবহাওয়ার সিন পটিক অবস্হায় বলা হয়েছে পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্হান করবে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্র ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।