মোঃ মুশফিক হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ শখের বশে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন দুই বন্ধু। এখন তাদের ক্ষেতের মাচায় ঝুলছে তিন রঙের তরমুজ। যেখানে রয়েছে- হলুদ, কালো এবং সবুজ রঙের তরমুজ। যেগুলোর জাত হচ্ছে- বুলেট কিং, গোল্ডেন ক্লাউন ও বিগ বাইট। ওই দুই বন্ধু মো. রাকিব ও মো. সুমন ভোলার লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী এলাকার বাসিন্দা। তারা দুইজনই গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে থেকে ঢাকা থেকে তরমুজ বীজ এনে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন। প্রথমবার আবহাওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তবুও হাল ছাড়েননি রাকিব ও সুমন। এ বছর আবারো বীজ রোপণ করেন। এবার তাদের ক্ষেতে ফলন ভালো হয়েছে। এখন ক্ষেতের মাচাগুলোতে ঝুলছে তরমুজ। যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো পাকবে।
ওই দুই বন্ধুর একজন মো. রাকিব। তিনি বলেন, শখ করেই এই তরমুজ চাষের চিন্তা মাথায় আসে। এরপর এলাকার বন্ধু সুমনের সঙ্গে বিষয়টি পরামর্শ করে দুইজনে মিলে ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করি। তারপর আমাদের বাড়ির পিছনের জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করি। প্রথমবার আবহাওয়ার কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তবে এ বছর সবকিছু ঠিক থাকায় ক্ষেতে ফলন অনেক ভালো। আশা করছি এ বছর ভালো লাভবান হবো।
আরেক বন্ধু মো. সুমন জানান, ৩৫ দিনের মধ্যে গাছগুলোতে ফলন এসে পড়ে। পরিপূর্ণ পাকতে সময় লাগে প্রায় ৬০ দিন। গড়ে প্রতিটি তরমুজ আড়াই কেজি ওজন হয়। আর প্রতি কেজি তরমুজের বাজারে পাইকারী মূল্য ৭৫ টাকা এবং খুচরা একশত টাকা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ক্ষেতের তরমুজগুলো বিক্রি শুরু করতে পারবো। এ তরমুজ চাষে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আশা করছি; এগুলো বিক্রি করে খরচ বাদে এ বছর অর্ধলক্ষ টাকার মতো লাভ হবে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, অফ সিজনের তরমুজের অনেক দাম। এতে করে একটু কষ্ট করলে কৃষকরা ভালো লাভবান হতে পারেন। অফ সিজনে যারা এ তরমুজ চাষ করেছে তাদের যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করবো। এছাড়া, নতুন করেও যদি কেউ অফ সিজনে তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হয়, তাদেরকেও আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।