হেলাল হোসেন কবিরঃ স্বপ্ন প্রকল্পের উপকারভোগী নির্বাচনের কাজের মধ্যে দিয়ে উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়নের ২য় পর্যায়ের ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ মে সকাল ১০ ঘটিকায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই অনুষ্ঠানের কার্যক্রম হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজন করেন ইউএনডিপি। এই কার্যক্রমের পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ঢাকা সুইডেন দূতাবাস দলের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের কাউন্সিলর/ ডেপুটি হেড অফ মিশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান। বাংলাদেশের ঢাকা দূতাবাসের কূটনীতিক মিস ফ্রেডরিকা নরেন। বাংলাদেশ ঢাকা’র সুইডেন দূতাবাস ন্যাশনাল প্রোগ্রামার অফিসার ইকরামুল এইচ সোহেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের পক্ষে আরডিসি রুবেল রানা, ইউএনডিপির বাংলাদেশের আয়োজকদের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, স্বপ্ন ও উইং এর জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজল চ্যাটার্জি, রাজপুত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, ইউএনডিপির রংপুর অঞ্চলের সমন্বয়কারী মোহাম্মুদুল হক মুকুল, ইউপি সচিব সোলায়মান আলীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানা যায়, ২০ মে থেকে ২২ মেয়ে প্রর্যন্ত সুইডিশ দূতাবাস দলটি নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী মহিলাদের মাঠ পরিদর্শনঅনুষ্ঠান চলবে।
লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ এবং ৬নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত ওয়ার্ড হতে এই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১২জন দুঃস্থ মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে বাকি ওয়ার্ড হতে একই পদ্ধতিতে আরও ২৪জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীগণ ১৫ মাস রাস্তা ঘাট ও অন্যান্য সরকারি সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৩৭জন ডাটা ইন্টি করেন।
পরে সুইডেন দূতাবাসের কূটনীতিকরা স্বপ্ন প্রকল্প ও রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় “তিস্তা নিরাপদ পানি” শোধনাগার স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।