আতাউর রহমান তুহিন,কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ সারা বিশ্বের মত খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় অদ্য ১৪ ই জুন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব রক্তদাতা দিবাস পালিত হয়েছে। দেশের রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো রক্ত দান করুন ,দান করুন প্লাজমা,, যতোবার সম্ভব গ্রহণ করুন, জীবন বাঁচানোর এ অন্যন্য সুযোগ । এবছর বিশ্বরক্ত দাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া। ২০০৪ সালে দিবাসটি প্রথম পালিত হয়। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। স্বেচ্ছা রক্তদাতারা নীরবে তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রক্ত দান করে যান। রক্তদানের সময় তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জানেনা রক্ত কোন মানুষটি শরীর বইবে । একইভাবে রোগীদের কাছে অচেনা থেকে যান রক্তদাতারা ।দাতা গ্রহীতার আনন্দ কৃতজ্ঞ তা জ্ঞাপনের এমন মেলবন্ধনে উদ্ধৃত হবেন নতুন রক্তদাতা ।
এদেশে রক্ত চাহিদার একটি বড় অংশ হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য। হেমাটোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশে সূত্রে জানা গেছে থ্যালাসেমিয়া রোগী সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে এক কোটি ৭০ লোকের অধিক মানুষ। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। একজন থ্যালাসিমিয়া রোগীরপ্রতি মাসে থেকে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় । থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, অপারেশন দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কোন বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পর পর রক্ত দিতে পারেন।