মোঃ সাহিদুল ইসলাম,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ পেটব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা অবিবাহিত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ভুল রিপোর্টের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা বানানোর ঘটনায় অভিযোগ, তদন্ত ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৫ই জুন) সকালে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ডোমার জেনারেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপির নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৮, ৪০ ও ৫২ ধারায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ নাহিদা তানসিম হিমি, মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ কামরুল হাসান নোবেল প্রমূখ সহ ডোমার থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১২ই জুন পেটব্যথার চিকিৎসা নিতে এলে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে আল্ট্রাসনোগ্রাফী ও ইউরিন পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট দেয় ক্লিনিকের দায়িত্বরতরা। স্বজনদের সন্দেহ হলে একাধিক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করে জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা নয়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বজন ও এলাকাবাসীরা ক্লিনিকটি অবরোধ করে রাখেন।