মোঃ সাজ উদ্দিন,সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেট জেলার কোথাও কোথাও টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয় অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে উত্তর-পূর্ব সিলেটের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার পিয়াইন, সারি, বড় নয়াগাং ও কানাইঘাট বাজারের তীরবর্তী সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গোয়াইনঘাটের কাকুনাখাই, খলা, বুধিগাঁও হাওর, তিকুল্লির হাওর, নাইন্দার হাওর, খাসিয়া হাওর, আমস্বপ্ন, নলজুরি, ছৈলাখেল ও জৈন্তাপুরের ডুলটিরপাড়, বাওন হাওর, চাতলারপাড়, শেওলারটুক, গাত্তি, ডিবির হাওর, কেন্দ্রী, ঘিলাতৈল, খারুবিল, বনপাড়া, ভিত্রিখেল, রামপ্রসাদ, লক্ষীপ্রসাদ, পাতন, ছাতারখাই এবং কানাইঘাটের রাঙ্গারাই, বেতু, সরুফৌদ, রতনপুর, চাউরা, মালিগ্রাম, বড় চতুল সহ নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে উপজেলাগুলোর অধিকাংশ এলাকায় ছোট পাহাড় ও টিলা থাকায় ধসের আশংকা রয়েছে। এবিষয়ে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, সকল ইউনিয়নে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি হলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। এবিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ মোঃ সজিব হোসাইন জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত ১৪ জুন সন্ধ্যা ০৬ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মি.মি. বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী বর্ষণের সর্তকবাণী দেওয়া হয়েছে।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 23, 2024