এম এ হানিফ রানা,স্টাফ রিপোর্টারঃ পবিএ ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাজীপুরে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাটগুলো। ট্রাকে ট্রাকে আসতে শুরু করেছে গরু, ছাগল,মহিষ। বিভিন্ন জেলা থেকে একে একে বিভিন্ন হাটে নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন আকারের গরু গুলো। ক্রেতাদের আগমনে জমে উঠতে শুরু করেছে অস্থায়ী এই পশুর হাটগুলো। বেশ কিছুদিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এবং তা অব্যাহত আছে এখনো। সবকিছু উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নামছে তাদের পছন্দের কুরবানির পশু ক্রয় করতে। সরেজমিনে গাজীপুরের বেশ কয়েকটি কুরবানির পশুর হাট পর্যালোচনা করা হয়। সবসময় গাজীপুরের বিখ্যাত রাজবাড়ী বটতলা হাট বসলেও এবার রথ মেলার জন্য সেই সেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। গোরস্থান অস্থায়ী পশুর হাট,আমতলী বাজার, লালমাটি হাট, মারতা পশুর হাট, আউড়াখালি পশুর হাট সহ সকল হাটেই মূলত মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে বেশি। মাঝারি সাইজের গরুর দামগুলো এক লাখ থেকে শুরু করে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার এমন দাম নেয়া হচ্ছে। ছোট সাইজের গরুরও চাহিদা থাকলেও কম আসতে দেখা গেছে। তারপরও ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ বা ১ লাখের উপরে দাম হচ্ছে। বড় সাইজের গরু পর্যাপ্ত উঠলেও ক্রেতা কম। কারন দাম অনেক বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে বড় সাইজের গরু ক্রয় করাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। হাসিলের চাপও বহন করতে হচ্ছে বেশি হারে। ক্রেতাদের সেদিকেও বিস্তর অভিযোগ। সোহাগ নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যা দাম চাচ্ছি তা খুব একটা বেশি নয়। কারন গোখাদ্য যেভাবে দাম বেরেছে সেই সাথে দীর্ঘ সময় পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু আশানুরূপ কাস্টমার বা দাম পাচ্ছি না। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে সম্ভবত এমনটা হতেও পারে। কারন বর্তমানে আয়ের চেয়েও ব্যয় অনেক।
পশুর দাম কেমন এ বিষয়ে জিগ্যেস করলে সোহাগ নামের এক ক্রেতা বলেন, গরুর দামতো বেশি হাঁকাচ্ছে বেপারিরা। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি মনে হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করছি সাধ ও স্বাধ্যের মাঝে পছন্দের পশুটি কেনার জন্য। তবে হাসিল নিয়ে আছে কিছু জায়গায় অভিযোগ। ৫-৬ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। যার প্রভাব পরছে আগত ক্রেতাদের উপরেও। কিন্তু আমতলী লালমাটি নামক স্হানে হাসিল অনেকটাই সহনশীলতার মাঝে আছে বলে ক্রেতারা মত প্রকাশ করেছেন। এখানে ১ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। এতে করে অনেকটাই খুশি ক্রেতারা।
সবচেয়ে বড় কথা কুরবানির মাংস বা রক্ত কোনটাই আল্লাহর দরবারে পৌছায় না। যেটা পৌছায় সেটা হলো বান্দার নেক সহি নিয়ত। বিশেষ করে আপনার কুরবানির যেই অংশ গরীব এবং আত্মীয় স্বজনরা পাবেন সেটা তাদেরকে সুন্দর মতো বিতরন করাটা ঈমানি দ্বায়িত্বও বটে। তাই পছন্দের পশুটি কিনা হোক হালাল টাকায় ও আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্য। তাহলেই পরিপূর্ণ হবে আপনার কুরবানী।