স্বপন কুমার রায়,খুলনাঃ শেখ হাসিনা সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে সাবলম্বি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্বাহী কমিটির সদস্য, আইন বিচারবিভাগীয় সংসদীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি।
খালেদা জিয়ার আমলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ অবহেলিত ছিল। সেই অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের সহযোগিতা করে স্বাবলম্বী করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঝর্ণা বলেন,দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার আহবানও জানান ঝর্ণা।
এমপি ঝর্ণা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছর পূর্তি আজ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ। আর তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা এই সরকার দেশ পরিচালনায় পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করবে আগামীকাল ৭ জানুয়ারি।, ‘১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। গত জুন মাসে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলাকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত করেছে। রাজধানী ঢাকায় চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আগামী মার্চে চালু হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল।এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করছে। খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর দেশের এই বিস্ময়কর সাফল্যের কারিগরই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বাংলাদেশ খাদ্যশস্য-উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ শতাংশ। মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। অক্টোবর মাসে উদ্বোধন করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পায়রা সেতু।
গত নভেম্বরে দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এবং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এজন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।