মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলাঃ মুজিববর্ষে আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে,আশ্রয় পাবে,শিক্ষা পাবে,উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল জেলার ন্যায় ভোলা জেলায়ও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ ০৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে সারাদেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ২২ হাজার ১০১টি ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্য ভোলা জেলায় বরাদ্দপ্রাপ্ত ৯১৩ টি ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে উপকারভোগীদের গৃহ বুঝিয়ে দেন ও তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সে সাথে তিনি ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হলো। ভোলা জেলার ০৭ (সাত)টি উপজেলাই এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকে। উপজেলা প্রান্তে স্থানীয় প্রশাসন ও উপকারভোগী ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান দৌলতখান উপজেলায় অনুষ্ঠিত গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলায় যোগাযোগব্যবস্থার অপ্রতুলতা ইত্যাদি প্রতিকূলতা জয় করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নপূর্বক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান আরো বলেন, এদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান”দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছে মেট্রোরেল।
এতসব কিছুর পাশাপাশি দেশের ভাগ্যহত মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার যে নজিরবিহীন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার,তা অতুলনীয়,অবিস্মরণীয়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহারের কথা ভুলবে না গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার গুলো যা ইতিহাসের পাতায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।
তিনি জানান,ভোলার প্রতিটি উপজেলায় ঘরের নির্মাণকাজ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যাচাই বাছাই করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ভোলা জেলার দৌলতখানে ২০০ (দুইশত)টি, বোরহানউদ্দিনে ৫১ (একান্ন)টি, তজুমদ্দিনে ১৩৭ (একশত সাইত্রিশ)টি, লালমোহনে ২৭০ (দুইশত সত্তর)টি, চরফ্যাশনে ১০০ (একশত)টি এবং মনপুরায় ১৫৫ (একশত পঞ্চান্ন)টি, সর্বমোট ৯১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় এবং ৪র্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে মোট ৩৫৩৬ টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাই এর ক্ষেত্রে নদী ভাঙন কবলিত, বিধবা, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, ছিন্নমূল, বেদেসহ সমাজের সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভোলা সদর উপজেলাকে ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন।