মাসুম বিল্লাহ, বগুড়াঃ সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকান্ডে ১৯ তম বর্ষে স্মরণসভা করেছে শেরপুর প্রেসক্লাব, বগুড়া। সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শেরপুর প্রেসক্লাবে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নিমাই ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: জানে আলম খোকা। সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল বারী ডাবলু, শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজমিরুল ইসলাম আজম, পৌর কাউন্সিলর করুনা রানী, শারমিন সুলতানা, সাংবাদিক আইয়ুব আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সবুজ চৌধরী, সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, কার্যনির্বাহী সম্পাদক আব্দুল আলিম, শাহ জামাল কামাল, সাংবাদিক আব্দুল হামিদ, আবু জাহের, মাসুম বিল্লাহ, তোফাজ্জল হোসেন, ফারুক হোসেন, আব্দুল মোমিন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীব গান্ধি এই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ রাজীব হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই সময় রাজীব নাবালক ছিল। তাহলে কিভাবে রাজীব হত্যাকান্ড করে। এটা একটা গজামিল দেওয়া হয়েছে। এর সঠিক দতন্ত করে প্রকৃত আসামীকে ধরতে দাবি জানান। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর রাতে কর্মস্থল দুর্জয় বাংলা পত্রিকার বগুড়া অফিস থেকে নিজ বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে উপজেলায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাংবাদিক দীপঙ্কর। নিজ বাড়ির কাছকাছি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীপঙ্করের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘ সময় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি তদন্ত করে। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে পুলিশ ওই হত্যাকান্ডে ইসলামী সঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততা বিষয়টি সামনে আনে। দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীব গান্ধি এই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।