কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত (৪অক্টোবর) সেখানের বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল থেকে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি। এদিকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও আমন ধান, আলুসহ বিভিন্ন ফসলী জমিতে পানি উঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শনিবার (৭অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাসমূহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। জানা গেছে, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত (৪অক্টোবর) সেখানকার বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে গত (৪-৫অক্টোবর) তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ বুড়িরহাট, নামা ভরট, গতিয়াসাম, চর খিতাবখাঁ এবং উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও আমন ধান, আলুসহ বিভিন্ন ফসলী জমিতে পানি উঠে বিভিন্ন ফসল ক্ষতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড মানুষকে সচেতন এবং সকল সহয়তা করে আসছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। তিস্তা এলাকার শহিদুল ইসলাম, রিপন মেম্বারসহ অনেকে বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধ খুলে দেয়া বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরাঞ্চলের অনেক বাড়িঘর ও বিভিন্ন ফসল জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।