তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদস জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনেই নিবার্চনি আমেজ জমে উঠেছে। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই আসনগুলোর প্রার্থীরা একে অন্যের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করে ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। একই সঙ্গে নির্বাচিত হলে উন্নয়নের বিভিন্ন আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।
কিন্তুু একেবারেই উল্টো চিত্র সুনামগঞ্জ ১ আসনে এখানে আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের ছাত্রলীগের সোনালি অর্জন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার কে নৌকার প্রার্থী করায় এই আসনে বিদ্রোহীরা তেমন সুবিদা করতে পারছেনা। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় স্বাধীনতার পরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনটিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়া দুরের কথা তারা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে জামানত হারিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে।
এই আসনে জাতীয় পার্টি সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে কাজ করছেন তারা বি এনপির ভোটারদের কাছে টানার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জ ১ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি এখানে বার বার নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে।যারা স্বতন্ত্র হয়ে এসেছেন তারা নৌকার ধারে কাছেও যেতে পারবেনা। এই এলাকার জনগন বঙ্গবন্ধুকে ভালবেশে এডভোকেট রনজিত সরকার কে নৌকা মার্কায় আগামী ৭ তারিখে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দেবে ইনশাআল্লাহ। যারা স্বাধীনতার প্রতিক নৌকাকে চ্যালেন্জ করেন তারা জামানত হারিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
অপরদিকে বি এনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক মাঠে নির্বাচনকে বয়কট করার জন্য তারা বাজারে বাজারে লিফলেট বিতরণ করছেন।এবং কর্মীদের ভোটে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
শনিবার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ করে জেলা বি এনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বলেন আমাদের মাঝে আওয়ামী লীগ দ্বিধা দন্দ ঢুকিয়ে ভোটের মাঠে নেওয়ার চেষ্টা করবে আপনারা কেউ এই ফ্যাসিবাদের নির্বাচনে যাবেন না
যদি দলীয় কোন নেতা এই সরকারের নির্বাচনে সহযোগীতা করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।