লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের পরিবর্তে, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, পিয়ন, অফিস সহকারী, প্রধান শিক্ষক চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীগন ট্রেনিং নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নতুন কারিকুলামে অষ্টম ও নবমের শ্রেণি-শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে। এই প্রশিক্ষণ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডিসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্থগিত হয়ে যাওয়া শিক্ষক প্রশিক্ষণটি ১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইআইআইএন-ধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমতি পায়।
ইআইআইএন-ধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খণ্ডকালীন শিক্ষকরাও এ সময় প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। তবে বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়া ইআইআইএন-ধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খণ্ডকালীন শিক্ষকরা এখনই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন না। তদের পরবর্তীকালে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।এছাড়া পরি পত্রে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক,সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে পারবেনা। অথচ কিছু প্রধান শিক্ষক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদেরকে দিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতার ৫০% পাওয়ার অঙ্গিকারে প্রশিক্ষণ করাচ্ছেন। প্রতিবেদকের তথ্য মতে, চর জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছেলে নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহায়ক আবির হোসেন।
কালকিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী -শেখ নুরুল আনোয়ার শাওন।
তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো: হাচান,পশ্চিম চর লরেন্স বালিকা দাখিল মাদরাসা -খোরশেদ আলম,মিল্লাত একাডেমির -নুরুল ইসলাম,চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়,মোঃ রাসেল।
ফলকন উচ্চ বিদ্যালয় অফিস সহায়ক -হাচান, কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুস সহিদ,এছাক নগর জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ হাসান( ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান) ,কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মোঃ আব্দুস শহিদ ( শিল্প ও সংস্কৃতি)সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যা জাতীয় শিক্ষা-কার্যক্রমকে প্রশ্নবৃদ্ধ করছে। সরকারি নীতি নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই প্রধান শিক্ষকদের এহেন কার্যক্রম সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী।এহেন জঘন্যতম কর্মকান্ডের জন্য প্রধান শিক্ষকদের জবাবদিহিতার মাধ্যমে আইনের আওতায় না আনলে নতুন কারিকুলাম ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন প্রশ্নবৃদ্ধই থেকে যাবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান,আমাদের সাথে অফিস সহায়ক দের ট্রেনিং নিচ্ছি খুব খারাপ লাগছে। চর জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, তার ছেলে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ কৃত, সে ট্রেনিং নিচ্ছে না, সে প্রজেক্টর এগিয়ে দিতে বা অন্যান্য কাজে ট্রেইনারদেরকে সহযোগিতা করছে। উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আনোয়ার পারভেজ জানান,ট্রেনিং এর বিষয়ে বিস্তারিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন, আমি জাস্ট ওনাকে সহযোগিতা করি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী জানান, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, পিয়ন, অফিস সহকারী, প্রধান শিক্ষক, কেউ যদি ট্রেনিং করে থাকে তারা ভাতা পাবে না,ওদের তালিকা দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।