উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃ মিজানুর রহমান কালুঃ রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলা প্রাঙ্গনে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়নের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪,৩ দিনব্যাপী (২৭হতে২৯ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত হয়েছে এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৭ফেব্রুয়ারী) এক বর্ণাঢ্য রা্যলি আয়োজন করা হয়,বেলা দুপুর ২ টায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কৃষকদের অংশ গ্রহণে উপজেলা চত্বর থেকে বের হওয়া রা্যলিটি উপজেলা পরিষদের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা স্থলে গিয়ে শেষ হয়।
রা্যলি শেষে কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪ উদ্বোধন করেন মাননীয় সংসদ সদস্য এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা ( পুঠিয়া দুর্গাপুর,রাজশাহী ৫)
উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্বে করেন এ.কে. এম নূর হোসেন নির্ঝর, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী সরকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান, দেবাশীষ বসাক সহকারী কমিশনার (ভূমি), জনাব মোঃ সাইদুর রহমান অফিসার ইনচার্জ পুঠিয়া থানা,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সকল কর্মচারী ও উপজেলার সাধারণ কৃষক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, আমাদের নেত্রী দেশের জন্য ভাবেন, দেশের মানুষের জন্য ভাবেন, দেশে খাদ্যের ঘাটতি পূরণে লক্ষ্যে তিনি কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে মনোযোগ দেন,এবং কৃষি উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদন করে বাংলাদেশ নিজেদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে দেশে উৎপাদিত ফসল বিদেশে রপ্তানি করছে,তিনি কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সাধুবাদ জানান, উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজের জমিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে,এতে করে উৎপাদন খরচ কমবে এবং বেশি বেশি লাভবান হওয়া যাবে,তিনি আরো বলেন খাদ্যের ঘাটতি কমাতে অতিরিক্ত অনাবাদি জমি ফেলে রাখা যাবে না, বাড়ির আশেপাশে এবং আঙ্গিনায় সবজি চাষ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জি. এম হিরা বাচ্চু প্রথমেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, তিনি না থাকলে দেশের মানুষ আজ না খেয়ে মরতো,কৃষি ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়নের ফলে মানুষ আজ পেট ভরে খেতে পাচ্ছে,আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদের ফলে বাংলাদেশের মানুষ আজ নিজেদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে তাদের উৎপাদিত ফসল বিদেশে রপ্তানি করছে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করছে,তিনি বলেন বিগত সরকারের আমলে মানুষ না খেয়ে থেকেছে,শেখ হাসিনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আর মানুষ না খেয়ে থাকে না, খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হয় না,শেখ হাসিনা বিনামূল্যে অসহায় মানুষ চাল দিচ্ছে, কৃষকদের সার দিচ্ছে,আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে,শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম কৃষি কাজে আগ্রহী হয়ে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যপক সাফল্য অর্জন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর,তার বক্তব্যে তিনি বলেন, কৃষির ব্যাপকতা দিন দিন বাড়ছে,কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে আরো বাড়াতে হবে,শুধু উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয় পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন হতে হবে,তাই খাদ্যে পুষ্টি গুণ বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে।
এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আবাদি জমির পরিমাণ কমছে এবং খাদ্যের চাহিদা ও বাড়ছে,খাদ্যের চাহিদা পূরণে কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার খুব জরুরী,কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ কমবে, উৎপাদন বাড়বে কৃষকরা লাভবান হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী সরকার, তিনি উপজেলার কৃষি উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলেন,উপজেলার কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিয়ে কথা বলেন,চাষাবাদের বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা গুলো তিনি সকলের সামনে তুলে ধরেন।
সবশেষে তিনি মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, চাষাবাদের বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি ও মেলার কৃষিজ পণ্যের স্টল গুলো তিনি ঘুরে ঘুরে দেখান,
টানা তিন দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তির জীবন্ত নমুনা উপস্থাপন করেন।মেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।