রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দিগন্তজোড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে সবুজ ধানের ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। হিমেল বাতাসে মিষ্টি রোদের সঙ্গে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন। সবুজ প্রকৃতি সবাইকে যেন মুগ্ধ করে তুলছে। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছ। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেয়ে গেছে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষকের। এদিকে, ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের সময় সার ও বিদ্যুৎ আপাতত কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না কৃষকদের।
উপজেলার রতন কান্দিগ্রামের বোরো চাষি ফজর ও লালন বালেন- ধান গাছে সময় মতো পানি, সার, ও কীটনাশক দেওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারদিক যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবারে আমাদের এলাকায় বোরো ধানে এখন তেমন কোনো পোকার আক্রমণ নেই। তাই বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন- চলতি মৌসুমে এ বছরে উপজেলায় ২২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বোরো আবাদ থেকে প্রায় ১ লক্ষ মেঃ টন ধান উৎপাদন করতে সমর্থ হব। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে থেকে কারিগরি সহয়াতাসহ সার ও বীজ প্রদান করছেন। সেই সাথে জৈব পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে লাইন লগো পার্চিং পদ্ধতিতে তাদেরকে ধান রোপণ করার জন্য মারামর্শ দিয়ে দিচ্ছেন। উন্নত জাতের ব্রি ধান ৮৯, ৯২ ও ১০০ যা বঙ্গবন্ধু ধান নামে পরিচিত সে ধান গুলো কৃষকদের মাঝে বহুল প্রচারের জন্য নিরলস ভাবে তারা কাজ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারি বৃন্দ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে কৃষক তাদের সোনালি ধান সন্দুর ভাবে ঘরে তুলতে পারে।