জাকির হোসেন সুমন,ব্যাুরো প্রধান ইউরোপঃ আবহমান বাংলার কৃষ্টি , সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কে ধারন করে প্রবাসের মাটিতেও আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে ঘটা করে পালন করা হলো বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বৈশাখী উৎসব । ইতালির বোলজানো শহরের ব্রিক্সন প্রভিন্সে ভিনতার ভেগ হল রুমে বাংঙ্গালিয়ানা নানা সাজে নবীন ও প্রবীণের বসেছিলো মিলন মেলা। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় আলোচনা সভায় । বোলজানোর বিক্সনের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব কামাল হোসেন এর আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খান খসরু। কমল রাইয়ানের প্রানবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোলজানো শহরের সাবেক মেয়র ও বর্তমান সংসদ সদস্য পিটার ব্রুনার। সে সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোলজানোর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ফিলিক্স তাসলার , বোলজানোর প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন , দেলোয়ার হোসেন দয়াল , কামাল হোসেন , রেহানা হোসেন শিল্পী , পুতুল কবির , সে সময় আরো বক্তব্য রাখেন , জাহিদ হোসেন , মৃদুল হাসান , নিকছন চৌধুরী , মুকুল উদ্দিন , শক্তি প্রমূখ । বৌশাখী উৎসবে দেশীয় সঙ্গীত, বাহারি পিঠা, ইলিশ ভাজা সহ ভাত, ও দেশীও ঐতিহ্য একতারা, কুলা, পলো, রিক্সা, গামছা শোভা পায়। যা দেখে উপস্থিত ইতালিয়ান ও অন্য দেশের উপস্থিত প্রবাসীদের বৈশাখী উৎসবে আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। সংসদ সদস্য পিটার ব্রুনার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশি সংস্কৃতির এমন একটি আয়োজনে আসতে পেরে আমি খুশি। আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আমি সব সময় বাংলাদেশী কমিউনিটির পাশে থেকে কাজ করতে চাই। বাংলার ঐতিহ্য ও আয়োজনে আমি মুগ্ধ । আলোচনা পর্ব শেষে দেশীয় বাংলা সঙ্গীর পরিবেশন করেন স্হানীয় শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে দুপুরের ভোজ শেষে আয়োজন করা হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে দের ও নারী, পুরুষদের পৃথক পৃথক ভাবে আয়োজিত বালিশ খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। তবে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নবীনরা মনে করেন প্রবীণদের এমন আয়োজনে বাংলাদের সংস্কৃতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আরো বাড়িয়ে দিবে কোমলমতি শিশুদের। নবীনরা মনে করেন প্রতিটি দিবসই যাতে ঘটা করে পালন করা হয় প্রবাসের মাটিতে, যাতে করে নিজ জন্মভূমি ও মাতৃভাষা কে ভুলে না যায় প্রবাসে জন্মনেয়া শিশু কিশোররা।