মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। এই দুটি জেলার মানুষ প্রধানত কৃষি ওপর বেশী নির্ভরশীল ও অর্থনৈতিকভাবে বেশ সচ্ছল।
এ অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক বা রেলপথে যাতায়াত করে আসছে। ঢাকা থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব এলাকা ভেদে ৪০০ থেকে
৫০০ কিলোমিটার। যা বাংলাদেশের মধ্যে রাজধানীর
সাথে সবচেয়ে বেশি দূরবর্তী দুটি জেলা। এই দীর্ঘ যাত্রায় অনেকের অনিহা থাকলেও খুব নিরুপায় এ অঞ্চলের মানুষ। কারণ এই অঞ্চল থেকে ঢাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় সড়ক বা রেল পথে ঢাকা পৌঁছতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা সময় লেগে যায়। কখনো কখনো ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগে যা অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর। আকাশপথেও সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ভ্রমন আরামদায়ক হলেও পঞ্চগড় কিংবা ঠাকুরগাঁও জেলার উপজেলা পর্যায়ে থেকে সৈয়দপুরের দূরত্ব ৭০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সড়ক পথের যাতায়াতের ফলে ঢাকা পৌঁছতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। ফলে আকাশ পথেও যাতায়াত অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও ঝামেলা যুক্ত। তারপরেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় বর্তমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে চলাচল করছে।
ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর এই অঞ্চলের পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার একাংশ সহ প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের যোগাযোগের সহজ কেন্দ্রবিন্দু।
ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু হলে এই অঞ্চলে বিমানের যাত্রী সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। যেমন এ অঞ্চলের মানুষ উন্নত চিকিৎসা স্বার্থে
ঢাকা যাওয়া সহজ হবে, পাশাপাশি ঢাকার ভালো মানের চিকিৎসকরা এ অঞ্চলে আসতে উৎসাহিত হবে।
তাই এই অঞ্চলের মানুষ ও বাণিজ্যিক স্বার্থে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু করা অত্যন্ত জরুরী।