নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ বিশ্বাস। মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম। মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজিন,মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল হাবিব সোনা সহ বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ বলেন মুজিবনগর তথা মেহেরপুর সহ সারা বাংলাদেশ, ৫ই আগস্ট বৈষমবাদী ছাত্র সমাজের আন্দোলনের শত শত মেধাবী ছাত্রদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা এখন রক্ষা করা আমাদের জন্য গুরু দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই খুনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরেও আবার নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে, ১৫ ই আগস্ট পালনের নাম করে দেশে এক অরজগতার সৃষ্টি করার পঁয়তারা করছিল, সাধারণ ছাত্র সমাজ ও এদেশের শান্তি প্রিয় জনগণ সচেতনার সহিত তাদেরকে প্রতিহত করেছে। ওনি বলেন নতুন করে কেউ বা কোন অপশক্তি এদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে তাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে আর এই শান্ত বাংলাদেশ অশান্ত করতে দেওয়া যাবে না। বিগত সরকারের আমলে যত ক্ষণ গুম হয়েছে এবং এদের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের অচিরেই আইনের কাঠগড়ায় আনা হবে বিশেষ করে রতনপুর হেলাল ডাক্তার ও তার মেয়ের হত্যার বিচার সহ মুজিবনগর সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার এই অন্তবর্তী কালীন সরকারের সময়ের মধ্যেই হবে, তিনি সকল জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা পুলিশ সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে যারা কাজ করছেন সকলকে সহযোগিতা করবেন, যাতে খুব অচিরে তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় আনা সম্ভব হয়।