মোঃ পারভেজ খান, মোংলাঃ দেশের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মোংলা বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত বিদেশী জাহাজের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে বন্দর এলাকায় যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে দুই বাহিনীর সদস্যরা। বন্দর ভবন ও জেটি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় নৌবাহিনী।
এছাড়াও চালনা থেকে মোংলা বন্দরের বহির্নোঙর পর্যন্ত কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একাধিক কন্টিনজেন্ট বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায় নদীপথে স্পিডবোটে টহল কার্যক্রম চলমান রেখেছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নজরদারিতে রয়েছে নৌ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর দূর্বৃত্তদের লুটপাট নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় নৌবাহিনী কোস্টগার্ডের একাধিক কন্টিনজেন্ট। বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সকল কর্মচারিদের জেটি, কার ইয়ার্ড এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডে নিয়োজিত করা হয়। বর্তমানে বন্দরে অবস্থানরত সবগুলো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত বন্দরে মোট ২৮টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।
প্রতিদিনই ৩-৪টি জাহাজ বন্দরে আসছে। আমদানি রপ্তানিকারকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বন্দরের কয়েকটি দপ্তরের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টাই খোলা রাখা হচ্ছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসির ইবনে মহসীন বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ এবং নদীপথে বিভিন্ন লাইটার জাহাজে চুরি ও অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে টহল জোরদার করা হয়েছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন: মোংলা বন্দরের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান,খুলনা শিপইয়ার্ড, মোংলা ইপিজেড এবং মোংলায় অবস্থিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। খুলনা ও মোংলা উপকূল বাসীর যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা মাত্রই কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কন্ট্রোলরুমে (০১৭৬৯-৪৪৪৯৯৯) যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।