বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না মর্মে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট- ওই রিট আর পরিচালনা করা হবে না মর্মে ননপ্রসিকিউশন (প্রত্যাহার) করেছেন রিটকারী। এর ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম প্রচারে কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি (ডিসচার্জ ফর নন-প্রসিকিউশন) করে দেন।
তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত। এ সংক্রান্ত মামলাটির পিটিশনার মামলাটি আজ প্রত্যাহার (ডিসচার্জ ফর নন-প্রসিকিউশন) করে নিয়েছেন। সেটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে যে আইনি বাধা ছিল- তা আর রইলো না।
শেখ হাসিনার শাসনামলের ওই আদেশ সংবিধান পরিপন্থি ছিল বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে ২০১৫ সালে নির্দেশ দেন আদালত। এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক উল্লেখ করে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পাশাপাশি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করা হয়।
মামলাটি পিটিশনার নাসরিন সিদ্দিকা লিনা আজ মামলাটি প্রত্যাহারে (নন-প্রসিকিউশন) আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে কোনো আইনগত বাধা রইলো না।