সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের চিলমারিতে অরণ্যের সবুজ উৎসব পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরিবেশবাদী সংগঠন অরণ্যের উদ্যোগে গ্যাটসবি ওয়ারস এর সহযোগিতায় অরণ্যের সবুজ উৎসব পালিত হয়। এ সময় ফকিরের হাট প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফকিরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬০০ শতাধিক আমের চারা বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনুজ্জামান শাহিন, প্রধান শিক্ষক ফকিরের হাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন ,উৎসর্গ নার্সিং ইনস্টিটিউট কুড়িগ্রামের চেয়ারম্যান , খোরশেদ আলাম, অরণ্যের উপদেষ্টা নুর আমিন, অরণ্যের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জামিউল ইসলাম জুহান, কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম,প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মীর মশাররফ হোসেন সহ অরণ্যের সদস্যবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন,
গাছ আমাদের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এছাড়া গাছ আমাদের ফল দেয়, অনেক গাছ ঔষধি গুণসম্পন্ন, যা আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া গাছ থেকে আমরা কাঠ পেয়ে থাকি। মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার্য নানা উপকরন কাঠ থেকে তৈরি করা হয়।পরিবেশ বান্ধব গাছ বিপদের বন্ধু। গাছ ছাড়া আমাদের জীবন অচল। তাই বসুন্ধরা অরণ্যের দেওয়া এই গাছ অক্সিজেন দিয়ে আমাদের জীবন বাচাতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের এই উর্বর মাটিকে বিদেশি আগ্রাসী ইউক্যালিপ্টাস, একাশিয়া, মেহগনি, রেইনট্রি ও শিশুর মত গাছের একচেটিয়া বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। চোখের সামনে যা আমাদের জাতীয় উন্নয়নকে নানাভাবে বাঁধাগ্রস্ত করছে। বাংলার নিসর্গ আজ মেহগনি, একাশিয়া, রেইনট্রি, ইউক্যালিপ্টাসই এখন আমাদের প্রায় ৭০ ভাগ বৃক্ষ,যা আমাদের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এসব গাছ আমাদের স্থানীয় পশুপাখি ও অনুজীবের জন্য উপযোগী নয়। কেবল কাঠের কথা চিন্তা করে এই ভুল বনায়নের কারণে ইতিমধ্যেই স্থানীয় অন্যান্য প্রজাতির স্থান দখল করে নিয়েছে এ গাছগুলো।