লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
গত রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইদ্রিস পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা মো. জয়নাল আবেদিন বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৪, তারিখ ১৩ ডিসেম্বর।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমোহন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদিনের ছোট মেয়ে উম্মে হাফছার সাথে প্রায় ১৬বছর আগে লালমোহন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইদ্রিস পাটোয়ারী বাড়ির সৈয়দ আহমদের ছেলে শফিকুলের সাথে বিয়ে হয়। এ দম্পতির ২ছেলে ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী শফিকুল প্রবাসে থাকায় হাফছা একাই স্বামীর ঘরে থাকতেন।
এ সুযোগে একই বাড়ির মো. শামছল হকের ছেলে জসিম, বাবুল বেপারী, শামছল হক, আব্বাছসহ তাদের পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপায়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকতো। তুচ্ছ যেকোনও ঘটনায় প্রায়ই হাফছাকে মারতে উদ্যত হত জসিমের পরিবার।
গত রবিবার জসিমের পালিত ছাগলে হাফছা বেগমের ঘরের সামনে সৃজিত ফসলাদি নষ্ট করায় ওই ছাগল তাড়ানোকে কেন্দ্র করে হাফছার উপর হামলা চালায় জসিম ও তার পরিবার।
একপর্যায়ে দা দিয়ে হাফছার ঘাড়ে কোপ দেয় জসিম। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডান হাতেও কোপ দিয়ে হাতটি প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রক্তাক্তবস্থায় উঠোনে ফেলে রাখে তারা। একই সাথে হাফছার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার লুটে নেয় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়রা এসে গুরুত্বরবস্থায় হাফছাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে বরিশাল পরে ঢাকায় প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বর্তমানে হাফছা ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর বার্কুলার ব্লকের ৮নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই জসিম ও তার পরিবার পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ৬নং আসামী পারভিন কে আটকপূর্বক কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।