মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা: ভোলায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোঃ আজাদ জাহান যোগদানের পর থেকেই জেলা প্রশাসনকে স্বচ্ছ ও দুর্ণীতি মুক্ত জনপ্রশাসন হিসেবে গড়তে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর পরই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে দেখা গেছে নির্ভীক, নিরহংকার ও সদালাপী এই মানুষটির মনে রয়েছে নানান স্বপ্ন ও উদ্ভাবনী ভাবনা যা তিনি বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধপরিকর।
আজ ভোলায় যোগদানের এক বছর অতিক্রম করে ভোলাবাসির কাছে কাছে তিনি শুধু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন,বরং আস্থার প্রতীক, উন্নয়নের কারিগর এবং মানবিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল উদাহরণ। জানা গেছে,সরকারের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের সর্বশ্রেণী মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিরন্তর ব্যস্ত থাকেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি ও তার টিম সারা জেলায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।এছাড়াও সেবা গ্রহীতাগণ জেলা প্রশাসনের কোন সেবা হতে বঞ্চিত হলেও অভিযোগ জানাতে পারেন জেলা প্রশাসকের মোবাইল নম্বরে।
কিছু মানুষ নিজেদের কর্মগুনে জনমনে স্থান করে নিয়েছেন। তেমনি একজন ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজাদ জাহান । প্রশাসনের কাজে তিনি যেমন দক্ষ তেমনি একজন মানবিক ব্যক্তিও। বর্তমান জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান জেলা প্রশাসক হিসাবের যোগদান করার পর তাঁর মানবিক মূল্যবোধ এবং কর্মদক্ষতায় ভোলাবাসি মুগ্ধ। ভোলা সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও কোটি কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার,দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন সহ,সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে কোন ধরনের অন্যায়ের সাথে কখনো আপোস করেন নাই এই জেলা প্রশাসক।
এজন্য তাকে অসৎ অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বারবার। কারণ তিনি আসার পর এ জেলার অবৈধ বালু,ভূমিসহ অনেক অবৈধ ব্যবসা-ই এখন বন্ধের পথে। কোন বিশেষ প্রয়োজনে তাঁর সাথে দেখা করতে চেয়ে সুযোগ পাওয়া যায়নি এমন ঘটনা বিরল।সাক্ষাৎ প্রত্যাশী মানুষের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে তাদের সমস্যা বা দুর্ভোগের কার্যকর সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
এরই অংশ হিসেবে শুরু করেছেন প্রকাশ্যে গণশুনানি। নিজের অফিস কক্ষের বাইরে খোলা জায়গায় গণশুনানিতে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ বাতলে দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের আপনজনে পরিণত হয়েছেন জেলা প্রশাসক। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জেলার হাজারো মানুষের সমস্যার সমাধান মিলছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যেন নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহানের, যারাই সহায়তার জন্য তার দফতরে যাচ্ছেন, খালি হাতে ফিরছেন না কেউই।
জানা গেছে,এ বছরে ভোলা জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি ও সিএনজি শ্রমিকদের একাধিকবার সংঘর্ষে,যখন বড় ধরনের কিছু হওয়ার পথে তখনই ভোলা জেলা প্রশাসক বারবার ক্ষমতার অপব্যবহার না করে বিনয়ের সাথে তাদের ঐক্য ফেরাতে মতিবিনয় সভা করেছেন এবং ঐক্য ফেরত সক্ষম হয়েছেন। ভোলার তজুমদ্দিনে সুইস গেট এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায় তখনই ঝুঁকি আছে যেনে ও নিজের টিম নিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন তিনি,দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
যোগদানের পর পরই ভোলার বোরহানউদ্দিনের জ্ঞানদা বালিকা বিদ্যালয়ে এইচপিভি বা জরায়ুমুখের ক্যান্সাররোধের টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে ৬২ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা শুনেই তার টিম নিয়ে ছুটে যান জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান,শিক্ষার্থীদের সুস্থ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি জেলার জনসেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।
জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের নাগরিকরাও প্রশাসনিক সেবায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার স্বাদ পাচ্ছেন। ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র পরিচালনা, শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ভূমিসেবা সহজীকরণ, কৃষি ও পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনা-এসব কিছুই তাঁর নেতৃত্বের ইতিবাচক প্রতিফলন।
জানা গেছে,২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ভোলায় জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।মো. আজাদ জাহান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২৫ তম ব্যাচের সদস্য। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।মো. আজাদ জাহান এর আগে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুরে ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন মানবিক ইউএনও হিসাবে তাকে জানতেন এরপর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালাকে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সর্বশেষ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার জন্মস্থান ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলায়। ভোলা জেলা প্রশাসক নিজেই জানান,আমি ভোলার খেটে খাওয়া মানুষের জেলা প্রশাসক,আমার কাছে ধনী-গরীব,উঁচু-নিচু সবাই সমান,প্রশাসন জনগণের সেবক-এই ভাবনা থেকেই আমি কাজ করি। মানুষের সেবায় থাকতে পারাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তাঁর এ ধরনের উদ্যোগ ও দায়িত্বশীলতা ইতোমধ্যেই সামাজিক সংগঠন,জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রশংসা অর্জন করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল, নির্বাহী সম্পাদক : মো: নাইবুর রহমান এলএল.বি(অর্নাস), এলএলএম। যুগ্ম সম্পাদক : মহিউদ্দিন চৌধুরী । বার্তা সম্পাদক : জাকিরুল ইসলাম। প্রকাশক কর্তৃক শামীম প্রিন্টিং প্রেস, মতিঝিল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ২৮/১/সি টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত। বাণিজ্যিক অফিস : ২২,পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯।