পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ মিজানুর রহমান (মিজান) এ যেনো দেখে মনে হবে বিশাল বড় পুকুর কিংবা দিঘী,কিন্তু না এটি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা ও খেলার মাঠ। সেই বিদ্যালয়টি পুঠিয়া উপজেলা শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে অবস্থিত,তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পাশে রয়েছে তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বছরের পর বছর ধরে এই দুই বিদ্যালয়ের মাঠ ও তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা বছরের প্রায় ৮ থেকে ১০ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে, তারই প্রতিবাদে (১৮ সেপ্টেম্বর) রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পানিতে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা ও এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করেন,মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন আমাদের বিদ্যালয় যাতায়াত করতে পারিনা খেলাধুলা করতে পারিনা তাই দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে তাই আমরা কোন প্রতিকার না পেয়ে এই মাঠের মধ্য কোথাও এক হিটু,কোথাও এক মাজা নোংরা পানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করছি। বিদ্যালয়ে একমাত্র শহীদ মিনার পানিতে তলিয়ে গেছে সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না। আমাদের বিদ্যালয়ের রাস্তায় ও মাঠে কেউ জাল দিয়ে মাছ ধরছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে তার প্রতিকার চেয়ে আজকের এই মানববন্ধন। তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী বলেন,বছরের অধিকাংশ সময় ৮ থেকে ১০ মাস রাস্তা ও মাঠ পানিবন্দি হয়ে থাকে এজন্যে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে নোংরা পানিতে শিক্ষার্থীদের ভিজে আসতে হয়। এই কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে কম আসে ক্লাস ও কম হয়। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি দরখাস্ত দেওয়া আছে,ও ইউনিয়ন পরিষদে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। তাতেও আমরা কোন সুফল পাইনি তাই আজকে বাধ্য হয়ে আমরা মানববন্ধন করছি। তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন,অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় খেলার মাঠ ও বিদ্যালয় এর রাস্তা অনেক জায়গায় গিয়েও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি তাই আজকে সবাই মিলে মানববন্ধন করছি। তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সোহেল রানা বলেন,দুই প্রতিষ্ঠানের একটাই খেলার মাঠ বছরের ১০ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে,আর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাওয়ার রাস্তা এক হিটু পানি এই কারণে ছাত্রছাত্রীরা চরম দুর্ভোগে আছে এই কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি কম লেখাপড়াও ঠিক মতো হচ্ছে না,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদে আমরা দরখাস্ত করেছিলাম সেখান থেকে কোন সাড়া পাইনি সেই কারণে আমরা মানববন্ধন করতে উপস্থিত হয়েছি। সরকারি শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন,আমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে আমি এই বিদ্যালয়ে আছি আমাদের বিদ্যালয়টা নির্মাণের পর থেকে সুস্থভাবে স্কুল চলানোর যে পরিবেশ সেটি আমরা পাইনি আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে এক ইিটু পানি বছরে দশ ১০ মাস পানি এভাবে বেঁধে থাকে। আমাদের বিদ্যালয়ে আশার যে রাস্তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন সেই কারণে বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় আসে না,এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) জনাব শিবু দাশ বলেন,এখানে আমি অল্প দিন হলো এসেছি যেহেতু বিষয়টা আমি জানিনা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম বিষয়টা আমলে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা জাহান বলেন,বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম আসলে ব্যাপারটি দুঃখ নিও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যদি আমার কাছে আসে আমার পক্ষ থেকে যথাযথভাবে আমি তাদেরকে সাহায্য করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল, নির্বাহী সম্পাদক : মো: নাইবুর রহমান এলএল.বি(অর্নাস), এলএলএম। যুগ্ম সম্পাদক : মহিউদ্দিন চৌধুরী । বার্তা সম্পাদক : জাকিরুল ইসলাম। প্রকাশক কর্তৃক শামীম প্রিন্টিং প্রেস, মতিঝিল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ২৮/১/সি টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত। বাণিজ্যিক অফিস : ২২,পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯।