চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ছোট স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে :
প্রথম স্ত্রী সন্তানের সংবাদ সম্মেল
আশাবুল হক মুক্তঃদর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ছোট স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রথম স্ত্রী সন্তানের সংবাদ সম্মেলন করেছে।
গতকাল রাত সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আক্কাস আলীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, আমার পিতা আক্কাস আলী। তিনি প্রথম স্ত্রী সন্তান ঘরে রেখে পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জননীকে বিবাহ করে সন্তান সহ ঘরে তোলেন। এরপর আমরা সকলে একই বাড়িতে পৃথক,পৃথক ভাবে বসবাস করি। তবে আমার মা টিনের ছাউনি দেওয়া সেমি পাকা ঘরে আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে সংসার করলেও আমার পিতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদেরকে নিয়ে একই স্থানের আক্কাস আলী মার্কেটের তৃতীয় তলায় পাকা ভবনের ঘরে বসবাস শুরু করে।
আমার পিতা দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার মা ও আমাদের তেমন খোঁজখবর রাখতো না। যার কারণে আমার মা আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন-রাত্রী যাপন করতো।
এরই এক পর্যায়ে আমি ব্যবসা ও আমার বড় ভাই চাকুরী পাওয়ায় আমাদের কিছুটা কষ্ট দূর হয়। আমি ও আমার বড় ভাই বাড়ি না থাকায় আমার ছোট ভাই নাসিমকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতো আমার মা।
আমরা দু'ভাই বাড়ি না থাকারয় আমার সৎ মা কারণে-অকারণে আমার মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়তো। এমন কথা আমার মা আমাদেরকে জানালে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে আমার নানা বাড়ি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন আনন্দবাস গ্রামে চলে যাই এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে।
এমতাবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারী শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পাই আমার পিতা আক্কাস আলী আত্মহত্যা করেছে।
এমন খবর জানতে পেয়ে আমি ও আমার মা সহ অন্যন্যরা দর্শনায় আসি। দর্শনায় পৌছে জানতে পারি আমার পিতার মৃত দেহ রাখা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এমন কথা জানার সাথে সাথে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের উদ্দ্যেশে রওনা হয় এবং মর্গে আমার পিতার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই।
কিন্তু আমার পিতার মৃত দেহ মর্গে পড়ে থাকলে সঙ্গে যাওয়া আমার সৎ মাকে দেখতে পাইনা।
খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আমার সৎ মা (ছোট মা) আমার পিতার লাশ মর্গে ফেলে রেখে ফিরে গেছে দর্শনার বাড়ি।
পরে আমার আত্মিয় ও পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফণ কার্য সম্পন্ন করার।
কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পন্নর শেষ মুহুর্তে সন্ধা ৭টার দিকে আমার সৎ মা আসমা খাতুন তার স্বামী আক্কাস আলীর মৃত্যুর জন্য মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে দায়ী করে অভিযোগ তোলে।
য়ে কারণে লাশের ময়না তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয় এবং ময়না তদন্ত শেষে পরদিন বিকাল ৪টার দিকে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর ওইদিন রাত্র ১০টায় লাশের জানাযা শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডস্থ কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে আমার পিতার মৃত্যুর কারণ হিসাবে আমাদের সন্দেহ হয় কৌশলে আমার সৎ মা আসমা খাতুন আমাদের সম্পত্তির কিছু অংশ ইতোপূর্বে রেজিঃ করে নিয়েছে। আর বাকী অংশটুকু লিখে নিতে আমার ছোট মা ও তার সন্তানসহ সহযোগীরা রেজিষ্ট্রির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
যার কারণে মানষিকভাবে আমার পিতা আক্কাস আলী ভেঙে পড়ে।
সে আরও জানায়, আমরা আত্মীয়-স্বজন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের মুখে জানতে পারি ৪/৫ দিন পূর্ব থেকে আমার পিতার জমি লিখে দিতে সৎ মা সহ তার গঙেরা বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগসহ মানসিকভাবে টর্চার করে আসছে। এনিয়ে মৃত্যুর আগের রাতেও তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া এবং হট্টোগল হয়।
যে কারণে পরদিন শুক্রবার সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে
আমার সৎ মা সহ তার লোকজনের পরিকল্পিতভাবে আমার পিতাকে হত্যা করেছে বলে আমাদের সন্দেহ হয়।
যে কারণে আমরা দর্শনা থানায়
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য যায়।
কিন্তু পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায়।
এরই একপর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারী চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমার সৎ মাকে ১নং আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দায়েরের পর থেকে আমার সৎ মা আমার বড় ভাইকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে হুমকি দাতা আমার সৎ মার বিরুদ্ধে ঢাকা বিমানবন্দর থানা ও মেহেরপুরের মজিবনগর থানায় পৃথক ২টি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সৎ মা ২৭ জানুয়ারী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞঃ আদালতে আমাদের সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে।
তাদের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রর হাত থেকে রেহায় পাই তার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ প্রশাসন সহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা কামনা করেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.