জাহাঙ্গীর খাঁন সিনিয়র রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চরদিয়ার পাক দরবার শরীফে ঝড় বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে কৌশলে নিয়োজিত প্রহরীদের পথ চলার পথ রুদ্ধ করে গত শুক্রবার রাতে আবারো চুরির ঘটনা ঘটার সংবাদ পাওয়া গেছে। এবারের চুরির ঘটনাটি প্রথমবারের মত অনুসন্ধানে চুরির ঘটনার সত্যতা মিলেছে প্রতিবেদকগণের অনুসন্ধানে। রাতের বেলায় বৃষ্টি ও তাপমাত্রার নিম্নগামীতায় বৈরী আবহাওয়ায় প্রহরিদের ঘরে অবস্থান করার সুযোগ নিয়ে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে ওঁৎ পেতে থাকা চোরেরা এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। প্রহরিরা বলেন, তাদের পথ সাময়িক রুদ্ধ করে চোরেরা টিনের চাল চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। শব্দ শুনতে পেয়ে হুইসেল বাজিয়ে প্রহরীরা সামনে এগুনোর সময় লক্ষ্য করেন বাঁশের গেট ওপাশ থেকে তার ও রশি দিয়ে শক্তভাবে গেট আটকিয়ে রাখে। তারা প্লাস্ দিয়ে তার কেটে গেট অবমুক্ত করার আগেই চোরেরা পলায়ন করে।
ওয়াকফকৃত এই সম্পত্তি ও মালামাল দখলে নিতে এবং মালামাল সরিয়ে নিতে মহল বিশেষের মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবিদ হাসান প্রতিবেদককে বলেন, যে কারো মালিকানাধীন সম্পদ, সম্পত্তি, মালামাল ইত্যাদি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এর আগেও ৪ জন চোরকে আমরা গ্রেপ্তার ও বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছি। বিভিন্ন সময়ে চুরি করার সময় খবর পেয়ে চোরদের ফেলে রেখে যাওয়া টিনের চালসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষায় দ্রুত ফোর্স পাঠিয়েছি। থানায় জনবল অপেক্ষাকৃত কম। এমতাবস্থায়, খবর পেলে অবশ্যই কর্তব্যরত কর্মকর্তা যথাস্থানে পুলিশ প্রেরন করবেন।
উল্লেখ্য, উক্ত মাজারের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সৈয়দ তাছের আহাম্মেদ বেশ কিছুদিন হলো অনুপস্থিত রয়েছেন। এই কারনে এখানে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। আর যে কারনে এখানে অগ্নি সংযোগ, লুটতরাজ, উপর্যুপরি চুরি সংঘটিত হচ্ছে। সমঝদার এলাকাবাসী বলছেন, এরুপ চুরির ঘটনা অনাকাংখিত। সভ্য সমাজ নির্মান ও সমাজের অবক্ষয় রোধকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে, এমনটাই মনে করেন আইনের বিশ্লেষকগণ।।