আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে বিএনপির আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
“মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে,” বলেছেন তিনি।
শনিবার মিন্টো রোডে নিজের সরকারি বাড়িতে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “খালি কলসি বেশি বাজে, বিএনপির আন্দোলনও ঠিক সেরকম।”
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আন্দোলন নিয়ে বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “খন্দকার মোশারফ সাহেবসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এমন বহু ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন, এটা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছে। এই ঈদের পরে, এই শীতের পরে, এই বর্ষার পরে, পরীক্ষার পরে, এরকম বহু হুমকি আমরা শুনে আসছি।
“খন্দকার মোশারফ সাহেবও যে বক্তব্য রেখেছেন যে আগামী ঈদের পরে জাতীয় ঐক্য করে, সরকারের পতন ঘটাবে সেগুলো আগের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছাড়া আরও অন্য কিছু নয়। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।”
সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম, অতি বাম, সবার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের মতো করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ঐক্য করে কোনো লাভ হয় নি। সেটি একেবারে ফানুসের মত নির্বাচনে হয়ে গেছে।
“কারণ উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে আছে, ১৪ দলীয় জোটের সাথে আছে। জনগণ তাদেরন ডাকে কখনও সারা দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।”
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের একধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি মনে করি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও অনেক ধাপ এগুতে পারত।
“কারণ গণতন্ত্র সংহত শুধুমাত্র সরকারি দলের নয়। যারা বিরোধীদলের রাজনীতি করেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারবিরোধী রাজনীতি করেন, তাদেরও দায়িত্ব এসব নিয়ে কথা বলার। বিএনপি যদি গণবিরোধী রাজনীতি না করত, জ্বালাও-পোড়াও না করত, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে অবরুদ্ধ করার রাজনীতি না করত এবং গাড়ি পোড়াও, মানুষ পোড়াও রাজনীতি না করত, তাহলে গণতন্ত্র সূচতে আমরা আরও বহু ধাপ এগোতে পারতাম।”
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.