কেবল গতানুগতিক শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীরা যতে কর্মসংস্থানের উপযুক্ত শিক্ষা নিতে পারে, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, এখন প্রযুক্তির যুগ।… সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার ভোকেশনাল ট্রেনিং বা কারিগরি শিক্ষাকে সব থেকে গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটা উপজেলায় কারিগরি স্কুল করে দেওয়া হচ্ছে।”
পৃথিবী যে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মুখোমুখি, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ছেলে মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের যদি আমরা উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারি… এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হবে, আমাদের দেশ এবং বিশ্বব্যাপী, সেই সুযোগটা আমাদের ছেলে মেয়েরা নিতে পারবে। তাদেরকে সেই ধরনের ট্রেনিংই দিতে হবে।
“শুধু গতানুগতিক ডিগ্রি নিলে হবে না।… স্বাভাবিকভাবে যে কোনো মানুষ পড়াশোনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য, কর্মসংস্থানের জন্য। কর্মসংস্থানের উপযুক্ত শিক্ষাই গ্রহণ করতে হবে। সেই শিক্ষাই আমাদের দিতে হবে।”
উচ্চ শিক্ষা প্রসারে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের তথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এমনকি বিদেশেও আমরা স্কলারশিপ দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড করে সেখান থেকেও আমরা উচ্চশিক্ষা, বিভিন্ন শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।
“কারন শুধু গতানুগতিক শিক্ষা নিলেই হবে না। সময়ের উপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।”
গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণার কারণেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
“কৃষিতে খুবই আমরা সাফল্য অর্জন করেছি, কিন্তু বিজ্ঞান বা মেডিকেল সায়েন্সের ক্ষেত্রে গবেষণায় এখনো আমাদের আরো জোর দিতে হবে। কারণ মেডিকেল গবেষণাটা খুবই বেশি প্রয়োজন। ঘনবসতিপূর্ণ দেশ আমাদের। সেই দেশে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, তাদের শিক্ষা, তাদের সব রকম ব্যবস্থা করার জন্য এটা একান্তভাবে দরকার।”
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।