এস.এম.বিপু রায়হান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন কে ঘীরে উৎসবের নগরীতে পরিনত হয়েছে পুরো শহর। ব্যানার আর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে শহরের অলিগলি আর উপজেলা গুলো। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছে প্রচারনায়। উপজেলায় ঘুরে ঘুরে কাউন্সিলর দের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। প্রচারনায় অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে সভাপতি পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ড.জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। সভাপতি পদে আরো প্রতিদন্দিতা করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ সভাপতি সিরাজগঞ্জের জজ কোর্টের পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এবং সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাস। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাকাওয়াত হোসেন সুইট, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক। সবাই প্রচারনা করছে। সভাপতি পদপ্রার্থী এ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানিয়েছেন ২৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘীরে সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। সম্মেলন প্রস্তুতির পাশাপাশি কাউন্সিলর দের কাছে সভাপতি পদে দোয়া ও ভোট চাচ্ছি। বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের বর্তমান সভাপতি কে অব্যহতি দিয়ে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি নেতা কর্মীদের পাটি অফিস মুখী করেছি। দলের মধ্যে যে বিভেদ ছিলো তা দুর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে এবারের কাউন্সিল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতি সম্পাদক যাকে নির্ধারন করবেন আমরা সেটাই মেনে নিবো। আমি বিশ্বাস করি এবারের সম্মেলনে তৃনমুলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করা হবে। সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী বলেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে আমি একাই নারী প্রার্থী। প্রচারনায় যেখানে গেছি সেখানেই সকলের সারা পেয়েছি। আমার শশুর আব্বা আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। আমিও ছাত্র জীবন থেকে আওয়ালীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি জন নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জের মানুষ আমাকে প্রাণ উজার করে ভোট দিয়েছিলো। এবারের সম্মেলনে সকল উপজেলার নেতারা আমাকে দোয়া করেছেন। নির্বাচন হলে আমি বিশ্বাস করি শত ভাগ ভোটে জয়ী হবো। তার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনিত করবেন আমরা তাকেই মেনে নিবো। আমি যদি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হই তাহলে দলকে সু সংগঠিত করে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করে একটি সু সংগঠিত আওয়ামী লীগ উপহার দিবো। আমি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক,শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অবদান রেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেন সেই ক্ষেত্রে আমি আশাবাদি। অপর সভাপতি প্রার্থী সাবেক মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন নেত্রী আমাকে সভাপতি বানিয়ে ছিলেন আমি তিন বছর নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি,কিন্ত দল আমাকে কেনো সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দিলো সেটা আমি জানি না,আমাকে কোন কারন দর্শানো নোটিশ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। তাই আমি আমার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমান রাখতে পারি নাই। এবার যদি সভাপতি হতে পারি তাহলে সাংগঠনিক ভাবে জেলা আওয়ামী লীগকে সু সংগঠিত করবো। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস বলেছেন ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছি, স্বাধীনতার পুর্বে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্র লীগের মনোনীত প্যানেল থেকে জি এস নির্বাচিত হয়েছিলাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সিরাজগঞ্জের বেসরকারি সাব সেক্টর পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের যুদ্ধকালীন সহকারি কমান্ডার ছিলাম। দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এবারের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হয়ে দলীয় কাউন্সিলরদের কাছে যাচ্ছি। তারা যদি আমাকে যোগ্য মনে করে অবশ্যই আমি সভাপতি নির্বাচিত হবো। তবে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা যে নির্দেশনা দিবেন আমরা সেটাই মেনে নিবো। উল্লেখ ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু হলে সিরাজগঞ্জ ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না কে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্না কে দলীয় পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে এ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং আব্দুস সামাদ তালুকদার কে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক করা হয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।