মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও। জালালাবাদের এক ব্যবসায়ী তার নব পুত্রবধুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঈদগাঁও থানায় দাখিলকৃত অভিযোগটির তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন এসআই আব্দুর রশিদ। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগদাতার ব্যবসায়ী পুত্র সাইফুল ইসলাম জনির সাথে তসলিমা আক্তার মনির সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। অভিযোগকারী মঞ্জুর জালালাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তেলি পাড়ার বাসিন্দা। তার পুত্রবধু সম্প্রতি চাচাতো ভাই সাইফুলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। সাইফুল চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদধাকচ্ছপিয়ার বাসিন্দা। মঞ্জুরের পুত্র জনি ঈদগাঁও বাজারে ব্যবসা করে। ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় তার স্ত্রী চাচাত ভাইয়ের সাথে পরকীয়ায় মজেছে। বিষয়টি টের পাওয়ার পর পারিবারিকভাবে নববধূকে বারবার সতর্ক করা হলেও সে তা কর্ণপাত করছে না। বিষয়টি পুত্রবধূর অভিভাবকদের ও জানানো হয়েছে। পুত্রবধূ তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া পিত্রালয় সহ বিভিন্ন স্থানে চলে যায় এবং পরকীয়া প্রেমিকের সাথে মিলিত হয়। পরকীয়া ঘটনার ব্যাপারে তার বাড়িতে বৈঠকে বসলে পুত্রবধূর অভিভাবকরা উল্টো তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া পরকীয়া প্রেমিক তার প্রেমিককে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করতে থাকে। এতে এক প্রকার তারা লজ্জায় পড়েছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগদাতা মঞ্জুর ও তার পুত্র জনি বাজারে থাকায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা নানান কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে পরকীয়া প্রেমিক সাইফুল তার বাড়িতে আসে। পরে তারা তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাপড়-চোপড় নিয়ে ফেলে বাহির থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পরকীয়ার টানে পালিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা বিস্তারিত বিষয়টি অবহিত হন। পরে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে নববধূকে করো পাওয়া যায়নি। তাই আইনি প্রতিকার পাওয়ার আশায় থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে তিনি উভয়ের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং আনুষাঙ্গিক ব্যাপারগুলো সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, পালিয়ে যাওয়া নববধূ ইছাখালী বা পোকখালীর কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন। তিনি নববধূকে খুঁজে বের করতে তার অভিভাবকদের তাগাদা দিয়েছেন বলেও জানান। অন্যদিকে নববধূর পিত্রালয়ের পক্ষ থেকেও ঈদগাঁও থানায় পৃথক একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগ দুটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.