(মাগুরা) প্রতিনিধিঃ বোরহান উদ্দিন মাগুরা জেলা বিএনপি পুলিশ বাধা অতিক্রম করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ করেছে। এতে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। মিছিল থেকে আট জনকে আটক করেছে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মাগুরা জেলা বিএনপি বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের জজকোর্ট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। বাধা অতিক্রম করে মিছিল করতে গেলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠি পেটায় সদর থানা যুবদলের সভাপতি কুতুব উদ্দিন রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি তুহিন বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম সাজু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ, তিতাস, নুর আলী, রজব আলীসহ ১০ নেতা ও কর্মী আহত হয়। এ সময় মিছিল থেকে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান খান, সাবেক সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, যুবদল নেতা সবীর হোসেন, সাকের হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ও কামরুজ্জামান সুমন, আবু বক্কার ও শালিখা ছাত্রদলের কিবরিয়সহ আট নেতা ও কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মীর সরাফত আলী সফু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সম্পাদক মো: সামসুর রহমান, জমির হোসেন, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি সাবেক মহিলা এমপি অ্যাডভোকেট নেয়াজ হালিমা আরলি, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, মনোয়ার হোসেন খান, আলমগীর হোসেন, কুতুব উদ্দিন। সমাবেশে বক্তারা, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম কমানো না হলে সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশী হামলা এবং আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং নিঃর্শত মুক্তির দাবি জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনজুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশী বাধা ভেঙে মিছিল করায় বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে