মোঃ মজিবর রহমান শেখ,, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার শতবর্ষী সুনামধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা)’র অপসারণ চেয়ে স্কুলগেট ও রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন ঐ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিভাবকরা। তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা) রানীশংকৈল উপজেলার দৌশিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও অভিভাবকদের দাবি ঐ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন করেন তিনি। ঐ ছাত্রীকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন শিক্ষক তৌহিদুল ও তার পরিবার। এই খবর পেয়ে ঐ শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেন। এ সময় তৌহিদুলের পরিবারের লোকজন ঐ ছাত্রীকে নির্যাতন করেন। এ সময় সহপাঠীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অনেক নির্যাতন মারধোর করা হয় বলে জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে নিরুপায় হয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকালে পাইলট স্কুলের দক্ষিণ গেটের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান সড়ক হয়ে আবার রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তৌহিদুলের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন ,আমরা মেয়ে শিক্ষার্থীরা সেই শিক্ষকের হাত থেকে নিরাপদ নয়, তাকে অপসারণ করে যেন স্কুল কমিটি আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। শতবর্ষী সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভূগছেন। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন এমন শিক্ষক সেই স্কুলে থাকলে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকবো আমাদের সন্তানদের নিয়ে। তাই এমন লম্পট শিক্ষককে চিরতরে অপসারণ না করলে আমারাও আমাদের সন্তানদের সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো না। এ বিষয়ে পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি আগে জানতাম না এখন জেনেছি এবং শুনেছি। এটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে খতিয়ে দেখা হবে।