(মাগুরা প্রতিনিধি)বোরহান উদ্দিন। ধারাবাহিকভাবে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির রয়েছে। ভোজ্য তেল নিয়ে তেলেসমাতির পর এবার রোজাকে সামনে রেখে অস্থির হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজারও। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। মাগরাও পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরের বিভিন্ন বাজারে নিউমার্কেট, কয়েকটি বাজারে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫-৫০ টাকা। শনিবার ব্যাবসায়িক হাতেমা আলি সূত্রে জানা যায় (৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও নিউমার্কেট ঘুরে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির এমন চিত্র দেখা গেছে। পললিরহাট বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের শেষভাগে যে ভারীবৃষ্টি হয়েছে, তার কারণে পেঁয়াজের আশানুরূপ ফলন মেলেনি। সে কারণে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাছাড়া সামনে রোজার মাস, মানুষের মধ্যে বেশি করে পেঁয়াজ কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা হতাশ। কারণ জিনিসের দাম বাড়লে বা বাজারে অস্থিরতা হলে বেচাকেনা ভালো হয় না।’ যশোর ও মাগুরা কাচা বাজার পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫-৫৮ টাকায়। সেই একই পেঁয়াজ নিউমার্কেট বা যশোর বাজারে মান অনুসারে ৬৫-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘এভাবে প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কখনও তেল, কখনও চিনি বা চাল। এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আমরা আসলে অসহায় হয়ে পড়ছি। খুচরো ব্যবসায়ীরা পাইকারদের দোষ দেয়। আমরা কাকে দোষ দেব?’ যশোর পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, ‘রোজা আসতে এখনও এক মাসের মতো বাকি। তারপরও মানুষ তেল, চিনি, পেঁয়াজ এসব বেশি বেশি করে কিনছে। সুযোগ বুঝে কোম্পানিগুলোও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। যারা এখন বেশি করে পেঁয়াজ কিনছেন, তারা বুঝতে চাচ্ছেন না এখনকার পেঁয়াজ কাঁচা। বেশি দিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। এসব বললে আমার দোকান থেকে নেবে না, তাই কিছু বলি না। তবে পরিচিত কিছু কাস্টমার আছে, তাদের বললে তারা বোঝেন।