মোস্তফা কামাল শ্রাবন,চুয়াডাঙ্গাঃ
বনবিভাগের অনুমোদন ছাড়াই দর্শনা কেরু,র চিনিকলের বীজ উৎপাদন খামারে শতশত বিভিন্ন প্রকার সরকারি গাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে ব্যবস্হাপনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্হানীয় পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলে প্রমান লোপাটের চেষ্টা চালাই অভিযুক্তরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
সাংবাদিকরা সরেজমিনে খোজখবর নিতে গিয়ে দেখে কর্তৃনকৃত গাছের নিচের অংশ মাটিচাপা দিয়েছে অভিযুক্তরা। শতশত গাছ কাটার প্রমান মাটি দিয়ে ঢাকা থাকলেও কর্তৃপক্ষের চোখে কালো চশমা থাকায় তা দেখতে পাচ্ছেন না। অনুমোদন ছাড়া সরকারি গাছ কর্তন করায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
দর্শনা কেরু,র চিনিকলে প্রতিবছর চিনি উৎপাদনের আগমূহুর্তে বয়লারের জ্বালানি হিসাবে ঠিকাদারের মাধ্যমে খড়ি ক্রয় করে থাকেন। তারি ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে ১১শ মেট্রিকটন খড়ি ক্রয় করে। মাড়াই কার্যদিবস শেষ হবার ১৮ দিন আগেই ক্রয়কৃত খড়ি শেষ হয়ে যায়। মাড়াই কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে নিজেস্ব বিভিন্ন কৃষি খামার থেকে শুকনা গাছ ও গছের ডাল কাটার নির্দেশ দেন। এর জন্য কর্তৃপক্ষ বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট গাছকাটা কমিটি গঠণ করে দেন। অভিযোগ উঠেছে কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুল বনবিভাগের অনুমোদন ছাড়াই মরাগাছ এবং গাছের ডালকাটার অযুহাতে বিভিন্ন কৃষি খামারের সরকারি শত শত মূল্যবান গাছ কেটে সাবাড় করে দেন। কর্তনকৃত গাছের কিছু অংশ বয়লারের জ্বালানি হিসাবে চিনিকলে সরবরাহ করলেও গাছের মূল্যবান অংশ আত্নসাত করেছেন বলে গুঞ্জণ ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদেরকে কারণ দর্শনো নোটিশ করে তিন দিনের মধ্যে জবাব দেবার নির্দেশ দেয়া হয়। ১৪ দিন পর অভিযুক্তরা সবাইকে রক্ষা করে সাংবাদিকদের অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কর্তৃপক্ষের নিকট। গতকাল বুধবার সকালে সাংবাদিকরা পুনরায় আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে অনুসন্ধন চালাই। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় কর্তৃনকৃত গাছের নিচের অংশ মাটি দিয়ে ঢেকেরাখা আছে। মাটি সরাতে থাকলে একের পর এক মূল্যবান গাছের অংশ বেরিয়ে আসে।
অথচ চিনিকলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে কোন গাছ কাটার নমুনা দেখতে পাননি। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন চোখে কালোচমা পরা থাকলে অনেক কিছু চোখে পড়ে না। যেমনটি ঘটেছে আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামারের শত শত গাছ কাটার বিষয়টি। বিষয়টি বাংলাদেশ চিনিও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান কে খতিয়ে দেখার দবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
এব্যাপারে চিনিকলের ব্যবস্থপনা পরিচালকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এমআইএইচ/একে
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.