এস এম সোহেল গাইবান্ধা প্রতিনিধি।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রামচন্দ্রপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতা সহ বিভিন্ন কারনে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখান্ত করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও কমিটির সদস্যগনের নিকট থেকে জানাগেছে,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান কারন ছাড়াই দীর্ঘ দিন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ও কোন খোজঁ খবর রাখেন না।

তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রস্তুত করন প্রশিক্ষনে ,শিক্ষা সফরে, সনদ প্রদানে,উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে, জাতীয় দিবস ২১ শে ফেব্রয়ারী সহ প্রতিষ্টানের গুরুত্বপূণ কাজে অনিহা অনুপস্থিত ও কর্তৃপক্ষকে অবজ্ঞা করে আসতেন।এসব বিষয় নিয়ে কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান সরদারসহ সদস্য বৃন্দ ও সহকারী শিক্ষকগন মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রধান শিক্ষকে সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পেয়ে উল্লেখিত কাজগুলো সম্পাদন করেন কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকগণ। তারা আরও জানান, প্রধান শিক্ষককে সরকারী একটি মোবাইল সিম দেয়া হয়েছে

যাহা দ্বারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি সেই সরকারী নম্বরটি বন্ধ করে রাখেন এবং তার বাড়ীতে গেলে বাড়ীতে থেকেই পরিবারের লোকজন দ্বারা জানান উনি বাড়ী নেই। এ ছাড়া কৌশলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই নির্বাচনের প্রিজাইডিং নিয়োগ করার কথা বলে কয়েকটি ফাঁকা রেজুলেশন খাতায় কমিটির সই স্বাক্ষর করে নেন। এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ও বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষককে গত ২২/২/২০২২ ইং তারিখে ১ম এবং ০৩/০৩/২০২২ ইং তারিখে ২য় কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।

প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান উক্ত কারন দর্শানো নোটিশের কোন জবাব প্রদান না করায় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুষ্ট ভাবে পাঠদানের লক্ষে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ০৮/০৩/২০২২ ইং তারিখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং এর অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দপ্তরে প্রেরণ করে। গত ১৪ ফেব্রয়ারী দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় খোলা ও পাঠদান চললেও প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ এবং প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। প্রধান শিক্ষকের কথা জিজ্ঞেস করলে শিক্ষক, কর্মচারী ও কমিটির লোকজন জানান,

বরখাস্তের বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক অদ্য সকাল সাড়ে ১০ টায় কিছু গুন্ডা বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল কিন্তু দূর্ঘটনা এরাতে এলাকাবাসীসহ সকলে মিলে প্রতিরোধ করে এবং তিনি ফেরত যেতে বাধ্য হয়। বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবনা বলে জানান। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম পারভেজ , এ সব বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মেডিকেল সার্টিফিকেট নেয়ার কথা মৌখিক জানালেও তাহা কোন দপ্তরে দেয়া হয়নি। এ ছাড়াও বিদ্যায়ের কমিটি নিয়েও টানা পোড়ান চলছে। বিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতির বিষয়ে এলাকাবাসী উদ্বোগ প্রকাশ করে জানান,প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারনে পাঠদান বিঘসহ উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।