উজ্জ্বল কুমার দাস,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মূলক সেবাদানকারী সংস্থা। ১৯৫০ সালে ড. বব পিয়ার্সের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশন আজ বিশ্বের ১শত এর বেশি দেশে সেবা দিচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ করছে। ১৯৭০ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যদিয়ে তাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল করে।ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত ছড়িয়ে পরে। এর ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ সময় ধরে স্পন্সরশীপ প্রকল্পের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায় শিশুদের কেন্দ্রকরে নানা মুখি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।মুলত এপি অফিসের মাধ্যমে শিশুকে কেন্দ্র করে এলাকা ও এলাকার হতদরিদ্র-দরিদ্র পরিবারের স্থায়ী ও রুপান্তর মুখী উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রমের ৫০ বছর পুর্তি হয়েছে।এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য আশা আনন্দ ও ন্যায়্যতার স্বর্নালী ৫০ বছর এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের কচুয়া এপিও পালন করছে নানা কর্মসূচি।

২১ শে মার্চ (সোমবার) দিনব্যাপী কচুয়া তন্ময় মিলনায়তনে শিশুদের সাথে নিয়ে অনারম্ভর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কচুয়া এরিয়া প্রোগ্রাম ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে শিশুদের সাথে উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠান।এ উপলক্ষে শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেককাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার,বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিকদার ফিরোজ আহম্মেদ,উপজেলা শিক্ষা অফিসার,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাংবাদিক সমির বরন পাইক, এপি ম্যানেজার তপন কুমার মন্ডল।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম বুলু,সময় টিভির টুটুল,প্রোগ্রাম অফিসার কল্লোল বেনজামিন দাস,বিপ্লব মন্ডল,রিপন হালদার,ঈশিতা বৈরাগী,সমর হালদার,শিউলি কস্তা,এপির পলাশ রঞ্জন সরকার,ক্রিস্টিয়ানো রাখি সহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিটি নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে একটি করে স্কুল ব্যাগ,টি সাট ও কিছু খাতা উপহার হিসাবে বিতরণ করা হয়।পর্যায় ক্রমে উপজেলার ৬ পিএফএর বাকি সকল নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে এসকল উপকরণ বিতরণ করা হবে।